২১ জুলাইয়ের জন্য সময় কমছে রথের মেলার

রথের সময়ে প্রতি বছরই সেন্ট্রাল পার্কের মেলা প্রাঙ্গণে প্রায় এক মাস ধরে এই মেলা চলে। এ বছর ৪ জুলাই থেকে ২৯ জুলাই পর্যন্ত—২৬ দিনের জন্য দমকলের অনুমতি নেওয়া হয়েছিল।

Advertisement

সোমনাথ চক্রবর্তী ও কাজল গুপ্ত

শেষ আপডেট: ০৩ জুলাই ২০১৯ ০১:১৬
Share:

ফাইল চিত্র।

শাসকদলের রাজনৈতিক অনুষ্ঠানের জন্য সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কে রথযাত্রার মেলায় এ বারে কোপ পড়তে চলেছে। এই নিয়ে ক্ষোভের
সৃষ্টি হয়েছে। ক্ষোভের কথা জানতে পেরে রথযাত্রা উৎসবের আয়োজকদের সঙ্গে সল্টলেকের বিধায়ক, তথা রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু ইতিমধ্যেই আলোচনা করেছেন। তবে মেলা কর্তৃপক্ষকে মৌখিক ভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ২১ জুলাই দলের অনুষ্ঠানে কর্মীদের রাখতে হবে বলেই মেলার দিন কমাতে হবে।

Advertisement

রথের সময়ে প্রতি বছরই সেন্ট্রাল পার্কের মেলা প্রাঙ্গণে প্রায় এক মাস ধরে এই মেলা চলে। এ বছর ৪ জুলাই থেকে ২৯ জুলাই পর্যন্ত—২৬ দিনের জন্য দমকলের অনুমতি নেওয়া হয়েছিল। সেই হিসেবে মাঠের জন্য ৭ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা ভাড়াও মেলা কমিটির তরফে জমা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু দমকলমন্ত্রী মেলা কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেন ২১ জুলাই শহিদ দিবসের কর্মসূচি থাকায় বিভিন্ন জেলা থেকে দলের কর্মীরা আগের দিন থেকে সেন্ট্রাল পার্কে থাকবেন। তাঁদের খাওয়ার ব্যবস্থা দলের পক্ষ থেকে ওই প্রাঙ্গণেই করা হবে। তাই ২১ জুলাই পর্যন্ত মেলার আয়োজন করা যাবে না। উদ্যোক্তাদের জানানো হয়েছে, এ বছর ১৫ জুলাই পর্যন্ত মেলা করার অনুমতি দেওয়া হবে।

বিধাননগর রথযাত্রা মেলার উদ্যোক্তাদের এক কর্তা জানান, বিভিন্ন জিনিসের পসরা নিয়ে প্রায় ৩০০টি দোকান থাকে এই মেলায়। বহু দূর থেকে লোকজন মেলা দেখতে আসেন। ফলে সময় কমিয়ে দেওয়া নিয়ে অনেকেই ক্ষুব্ধ হয়েছেন।

Advertisement

দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু বলেন, ‘‘মেলা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। কোনও অসুবিধা হবে না। ওঁরাও মেলা করবেন। আমরাও আমাদের লোকজনের থাকার ব্যবস্থা করব। ওঁদের ১৫ জুলাই পর্যন্ত মেলা করার জন্য বলা হয়েছে।’’ দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মেলার মাঠ পরিদর্শন করবেন দমকলমন্ত্রী।

মেলা কর্তৃপক্ষ অবশ্য প্রশাসনের কথা মেনে নিয়েছেন। রথযাত্রার মেলার আয়োজক বিধাননগর শ্রীচৈতন্য ভগবৎ সমাজ। সংগঠনের সম্পাদক কুমারশঙ্কর সাধু বলেন, ‘‘মিলন মেলা প্রাঙ্গণে মেরামতির কাজ চলছে। তাই সল্টলেকে মেলা প্রাঙ্গণে শাসক দলের কর্মীদের রাখা হবে। সাময়িক এই সমস্যা সমাধানে
আমরাও সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছি। মেলার সময় কমছে।’’ তিনি জানান, রথযাত্রা উৎসবে রাজ্যের বিভিন্ন মন্ত্রী থেকে শুরু করে পুর-প্রশাসনের কর্তাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের কথায়, ‘‘মিলন মেলার মেরামতির কাজ আচমকা শুরু হয়নি। এর আগেও সল্টলেকের মেলা প্রাঙ্গণে রাজনৈতিক দলের অনুষ্ঠানের
জন্য কর্মীরা ছিলেন। ফলে সেই অনুসারে ব্যবস্থা নিতে পারত প্রশাসন। আগে কখনও এমন হয়নি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement