তিলজলা থানায় ডেকে তাঁকে মারধর করার অভিযোগ তুলেছেন জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন প্রিয়ঙ্ক কানুনগো। ফাইল চিত্র।
ছুটিতে গেলেন তিলজলা থানার ওসি বিশ্বক মুখোপাধ্যায়। তাঁর বিরুদ্ধে শুক্রবার মারধরের অভিযোগ তুলেছিলেন জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন প্রিয়ঙ্ক কানুনগো। এই ঘটনার পর পরই ওসির ছুটিতে চলে যাওয়ায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তাঁর কী আগে থেকেই ছুটি নেওয়া ছিল, না কি শুক্রবারের ঘটনার জেরে ওসিকে ছুটিতে পাঠানো হল? যদিও পুলিশের তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে এ বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার থেকে ছুটিতে গিয়েছেন ওসি। শুক্রবারের গোটা ঘটনার তদন্তের জন্য শনিবার সকালে গুন্ডাদমন শাখার এসি সুজিত চক্রবর্তীর নেতৃত্বে একটি তদন্তকারী দল তিলজলা থানায় গিয়েছে।
তিলজলায় সাত বছরের শিশুকন্যাকে যৌন নির্যাতনের পর নৃশংস ভাবে খুনের ঘটনার তদন্তে তিলজলায় গিয়েছিল জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের একটি প্রতিনিধি দল। সেখানে হাজির হয়েছিলেন রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধিরাও। দু’পক্ষের মধ্যে তীব্র বাদানুবাদ হয়। শুধু তাই-ই নয়, জাতীয় কমিশনের চেয়ারপার্সন প্রিয়ঙ্ক কানুনগোকে থানায় ডেকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে ওসি বিশ্বকের বিরুদ্ধে। এর পরই ওসির বিরুদ্ধে ডিসি (এসইডি) শুভঙ্কর ভট্টাচার্যের কাছে শুক্রবার অভিযোগ জানান প্রিয়ঙ্ক। তাঁর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।
জাতীয় কমিশনের চেয়ারপার্সন প্রিয়ঙ্ক জানিয়েছেন, তিলজলা থানায় গিয়ে নিহত শিশুর অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলেন। পাশাপাশি, তদন্তকারী আধিকারিকের সঙ্গেও কথা বলেন জাতীয় কমিশনের প্রতিনিধিরা। প্রিয়ঙ্কের অভিযোগ, থানার মধ্যে বডি ক্যামেরা লাগানো ছিল। সেই ক্যামেরার মাধ্যমে গোটা বিষয়টি রেকর্ড করা হচ্ছিল। বিষয়টি নিয়ে তিনি প্রতিবাদ জানালে থানার মধ্যেই তাঁকে মারধর করা হয়। অভিযোগ ওঠে থানার ওসি বিশ্বকের বিরুদ্ধে। রাতেই ওসির বিরুদ্ধে ডিসি (এসইডি)-র কাছে অভিযোগ দায়ের করেন প্রিয়ঙ্ক।