বোমা ফেটে গুরুতর দগ্ধ তিন স্কুলছাত্র

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন আটঘরা কালীকৃষ্ণ হাইস্কুলে নবম শ্রেণির মৌখিক পরীক্ষা ছিল। দুপুরের পরে স্কুল ছুটি হয়ে যায়। আচমকাই স্কুল থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরে একটি বাড়ি থেকে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ পেয়ে ছুটে আসেন বাসিন্দারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৩:২২
Share:

হাসপাতালে আহত দুই স্কুলছাত্র। সোমবার। নিজস্ব চিত্র

স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে বোমা ফেটে গুরুতর জখম হল নবম শ্রেণির তিন ছাত্র। সোমবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে বারুইপুর থানার কালীনগরে।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন আটঘরা কালীকৃষ্ণ হাইস্কুলে নবম শ্রেণির মৌখিক পরীক্ষা ছিল। দুপুরের পরে স্কুল ছুটি হয়ে যায়। আচমকাই স্কুল থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরে একটি বাড়ি থেকে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ পেয়ে ছুটে আসেন বাসিন্দারা। এসে তাঁরা শোনেন, বাড়ির ভিতর থেকে গোঙানির আওয়াজ আসছে। এর পরে পাঁচিল টপকে কয়েক জন বাড়িতে ঢুকে দেখেন, দোতলায় দগ্ধ অবস্থায় পড়ে আছে তিন কিশোর। চার দিকে বারুদের গন্ধ। এলাকাবাসীরাই তিন জনকে উদ্ধার করে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় মানব সরকার, রাজ শেখ ও রাজেশ সর্দার নামে ওই তিন ছাত্রকে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। বিস্ফোরণে তাদের শরীরের অনেকটাই ঝলসে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, অর্ধনির্মিত অবস্থায় ওই বাড়িটি কয়েক বছর ধরে পড়ে রয়েছে। পাঁচিল দিয়ে ঘেরা ওই বাড়ির চারপাশ ভরেছে ঝোপ-জঙ্গলে। আশপাশে একাধিক বাগানবাড়ি থাকলেও সেগুলি ফাঁকাই পড়ে থাকে। প্রাথমিক তদন্তে বারুইপুর জেলা পুলিশের কর্তাদের অনুমান, নিরিবিলি এলাকা হওয়ায় ওই বাড়িটিতে বোমা লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। বারুইপুর জেলা পুলিশের অতিরিক্ত সুপার ইন্দ্রজিৎ বসু বলেন, ‘‘বম্ব স্কোয়াডকে খবর দেওয়া হয়েছে। ওই বাড়িতে কী ধরনের বোমা ছিল, তা দেখা হবে।’’

Advertisement

স্কুল ছুটির পরে ওই তিন ছাত্র কেন ওই বাড়িতে গিয়েছিল, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। তাদের অভিভাবকদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আজ, মঙ্গলবার ঘটনার তদন্তে আসছেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞেরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement