প্রতীকী ছবি।
রবীন্দ্র সরোবরে ছটপুজো নিয়ে পরিবেশ আদালত নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও রাজ্য প্রশাসন সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হওয়ায় বিকল্প হিসেবে নোনাডাঙায় নতুন তিনটি স্থায়ী নির্মাণ করেছেন কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ। সেখানে একটি বড় জলাশয়ে গত বছরই তিনটি ঘাট তৈরি হয়েছিল। পাটুলির আরও একটি ঘাট মিলিয়ে চলতি বছরে ছট পুণ্যার্থীদের জন্য মোট সাতটি স্থায়ী ঘাট তৈরি রাখা হচ্ছে। বাকি ঘাটগুলি কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ অস্থায়ী ভাবে শহরের বিভিন্ন জলাশয়ে তৈরি করবেন। সেই সব ঘাট কোথায় হবে, তা নিয়ে অবশ্য চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। শুধু নতুন ঘাট তৈরিই নয়, রবীন্দ্র সরোবরে ছটপুজো নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হওয়ার পরে আদালতের নির্দেশিকা মেনেই পুণ্যার্থীদের কী কী করণীয়, সেই ব্যাপারে ইস্তাহার তৈরি করে সচেতনতা অভিযান শুরু হবে।
পুজোর আগেই কলকাতা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর রবীন্দ্র সরোবর সংলগ্ন এলাকার কোঅর্ডিনেটরদের নিয়ে আলোচনা করে কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, ছট পুণ্যার্থীদের জন্য পুর এলাকায় মোট ৪৪টি ঘাট থাকবে। কী ভাবে, কোথায় তাঁরা ছটপুজো করবেন, সেই ব্যাপারে নির্দেশিকা দিয়ে তাঁদের জানিয়ে দেওয়া হবে। তবে রবীন্দ্র সরোবরে ছটপুজোর বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি কেএমডিএ-র সিইও অন্তরা আচার্য।
কেএমডিএ-র আধিকারিকেরা জানান, রবীন্দ্র সরোবরে ছটপুজো নিয়ে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা। এর পরে আদালতের নির্দেশিকা অনুযায়ী সমস্ত রকম ব্যবস্থা নিতে হবে। সেই কারণেই বিকল্প হিসেবে কয়েকটি ঘাট তৈরি করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তা ছাড়াও, ছটপুজোর জন্য যত বেশি সংখ্যক ঘাট তৈরি থাকবে, পুণ্যার্থীদের তত সুবিধা হবে।
কেএমডিএ সূত্রের খবর, শহরে কোথায় কোথায় স্থায়ী ঘাট তৈরি করা যায়, তার জন্য গত বছর থেকেই জায়গা চিহ্নিত করার পরিকল্পনা করা হয়। কিন্তু অন্য কোথাও জায়গা মেলেনি। তার পরে নোনাডাঙার কাছে ওই বড় জলাশয়ের ধারে আরও তিনটি ঘাট তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানান, রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ বিবেক গুপ্তর তহবিল থেকে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা ব্যয় করা হয়েছে এর জন্য। পুর এলাকার বিভিন্ন পার্কের মধ্যে অথবা বাইরে যেখানে জলাশয় রয়েছে, সেখানে ছটপুজোর জন্য অস্থায়ী ভাবে কিছু ঘাট তৈরি করা হবে। পুজোর পরে সেই সব ঘাট পরিষ্কার করে দেওয়া হবে। এই পরিকল্পনার জন্য কলকাতা পুরসভা থেকেও অনুমতি নেওয়া হবে বলে কেএমডিএ-র আধিকারিকেরা জানিয়েছেন।