—প্রতীকী ছবি।
বিদেশ থেকে ডাক্তারি পাশ করে এসে এ দেশে চিকিৎসা করার জন্য নির্দিষ্ট পরীক্ষা থাকলেও তার কোনও সময়সীমা ছিল না। এ বার সেই সময়সীমা নির্দিষ্ট করল ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন (এনএমসি)। বিদেশে এমবিবিএস পাশ করার পরে ১০ বছরের মধ্যে ওই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। না হলে এ দেশে চিকিৎসার অনুমতি মিলবে না।
এনএমসি সূত্রের খবর, বিদেশে এমবিবিএস পাশ করা চিকিৎসকদের দেশে ফিরে চিকিৎসা করার জন্য ফরেন মেডিক্যাল গ্র্যাজুয়েট পরীক্ষায় (এফএমজিই) বসতে হয়। কিন্তু স্নাতক হওয়ার পরে কত দিনের মধ্যে সেই পরীক্ষায় বসতে হবে বা বসা যাবে, সেই সংক্রান্ত নির্দেশিকা বা নিয়ম নির্দিষ্ট করা ছিল না। সেটাই এ বার ১০ বছরের সময়সীমায় বেঁধে দিল এনএমসি। কর্তারা জানাচ্ছেন, ডাক্তারিতে স্নাতকোত্তর স্তরে সুযোগ পেতে নিট-পিজি পরীক্ষায় বসতে হয়। তবে এনএমসি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তার পরিবর্তে এ বার থেকে ন্যাশনাল এক্সিট টেস্ট বা এনইএক্সটি পরীক্ষা চালু করা হবে। বিদেশ থেকে এসে এ দেশে চিকিৎসা করার ছাড়পত্র পেতে এফএমজিই পরীক্ষার পরিবর্তেও এনইএক্সটি দিতে হবে। কিন্তু ওই পরীক্ষা এখনও বাস্তবায়িত হয়নি।
এনএমসি সম্প্রতি ওই নির্দেশিকায় ১০ বছরের মধ্যে এফএমজিই পরীক্ষার কথা যেমন জানিয়েছে, তেমনই তার পরে ইন্টার্নশিপের কথাও বলেছে। সেগুলি সম্পূর্ণ হওয়ার পরেই চিকিৎসার অনুমোদন মিলবে। বছরে দু’বার ওই পরীক্ষা হয়। বিভিন্ন রাজ্যের মেডিক্যাল কাউন্সিলের মতামত নিয়ে এবং ইউক্রেন, ফিলিপিন্সের মতো দেশ থেকে পাশ করা স্নাতক স্তরের চিকিৎসকদের নানা সমস্যার দিকটি খতিয়ে দেখেই নির্দিষ্ট সময়সীমা ধার্য করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনএমসি। রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের সদস্য-চিকিৎসক কৌশিক বিশ্বাস বলেন, ‘‘এনএমসি একটি করে নিয়ম করে আর দেড়-দু’মাস অন্তর সেটির পরিবর্তন করে। তাই এটিও কত দিন থাকবে, বলা মুশকিল। তবে পরীক্ষার সময়সীমা ১০ বছর না করে কম করা উচিত ছিল। কারণ, বিভিন্ন রাজ্যের মেডিক্যাল কাউন্সিলে তিন-চার বছর অন্তর শংসাপত্র আপডেট করতে হয়।’’ এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছেন অ্যাসোসিয়েশন অব হেলথ সার্ভিস ডক্টর্সের সাধারণ সম্পাদক মানস গুমটাও। তাঁর কথায়, ‘‘এত দিন সময়সীমা দেওয়ার কী অর্থ, স্পষ্ট নয়। বিদেশ থেকে ডাক্তারি পাশ করে এসে এত দিন কি কেউ বসে থাকবেন? বরং কত তাড়াতাড়ি তিনি চিকিৎসা শুরু করবেন, তার জন্য সময়সীমা কম করা উচিত ছিল।’’