পুজোর উদ্যোক্তাদের মতে, সকলে মিলে অঞ্জলি দেওয়ার যে আনন্দ, অনলাইনে তা কোথায়! ছবি টুইটার
দু’বছর পরে অনলাইনের আড়াল ছেড়ে পুরনো ছন্দে মণ্ডপে ফিরছে অঞ্জলি। ঘরে বসে মোবাইলে চোখ রেখে মন্ত্রোচ্চারণ আর নয়। বরং মণ্ডপে দেখা যাবে ফুল, বেলপাতা হাতে অঞ্জলির মন্ত্র আওড়ানোর চেনা ছবি। পুজোর উদ্যোক্তাদের মতে, সকলে মিলে অঞ্জলি দেওয়ার যে আনন্দ, অনলাইনে তা কোথায়!
অতিমারির আতঙ্কে গত দু’বছর পুজোয় ছিল একাধিক বিধিনিষেধ। ভিড় এড়াতে মণ্ডপ চত্বরে দর্শনার্থীদের প্রবেশ বন্ধ করে দেয় আদালত। পুজো কমিটির সদস্যেরাও যাতে মণ্ডপে ভিড় না করেন, সে জন্য সংখ্যা নির্দিষ্ট করে দিয়েছিলেন বিচারকেরা। বিকল্প হিসাবে অনলাইনে পুজোর অঞ্জলি দেওয়া ও মণ্ডপ দেখানোর ব্যবস্থা করেছিল একাধিক পুজো কমিটি। কোথাও সমাজমাধ্যমে পুজো কমিটির পেজ খুলে লিঙ্ক পাঠানো হয়েছিল মোবাইলে। অঞ্জলি শেষে বাড়ি থেকে ফুল, বেলপাতা নিয়েও এসেছিল কিছু কমিটি।
গত বছর অনলাইনে অঞ্জলি দেওয়ার বিকল্প ব্যবস্থা করতে একটি মোবাইল সংস্থার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছিল মুদিয়ালি ক্লাব। সাত দিন ধরে পুজো ‘লাইভ’ করার দায়িত্ব দেওয়া হয় তাদের। সেই পুজোর অন্যতম উদ্যোক্তা মনোজ সাউ বলেন, ‘‘এ বছর তো সংক্রমণ নেই। মায়ের সামনে দাঁড়িয়েই সব হোক।’’ অনলাইন ছেড়েছে বালিগঞ্জ কালচারাল, গৌরীবেড়িয়া সর্বজনীন-সহ একাধিক পুজো। বালিগঞ্জ কালচারালের উদ্যোক্তা অঞ্জন উকিল বলেন, ‘‘গত বছর উপায় ছিল না। আদালতের বেঁধে দেওয়া সংখ্যা মেনে অঞ্জলি দিতে গেলে সময় পেরিয়ে যেত! এ বছর পুরনো নিয়মেই হবে।’’গৌরীবেড়িয়া সর্বজনীনের কর্তা মান্টা মিশ্রের কথায়, ‘‘অনলাইনে অনেক ঝক্কি। এ বছর সতর্ক থেকে মণ্ডপেই অঞ্জলি হবে।’’ সুরুচি সঙ্ঘের পুজোকর্তা কিংশুক মিত্র বলেন, ‘‘বাকি সব অনলাইনে হলেও অঞ্জলি হয় না। মণ্ডপে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা থাকছে। সেখানেই অঞ্জলি হবে।’’