অর্ধসমাপ্ত সেই ভবন। নিজস্ব
পঁয়ত্রিশ বছরেও তৈরি হল না নামকরণ হয়ে যাওয়া একটি থিয়েটার মঞ্চ। অথচ প্রায় কোটি টাকা খরচ হয়ে গিয়েছিল। স্থানীয়দের অভিযোগ, পড়ে থেকে অর্ধসমাপ্ত ভবনটি অসামাজিক কাজের আখড়ায় পরিণত হয়েছে।
শহরের প্রাণকেন্দ্র পার্ক সার্কাসের কাছে সুন্দরীমোহন অ্যাভিনিউয়ের সাড়ে ২৮ কাঠা জমির উপরে থিয়েটার মঞ্চ গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কলকাতা পুরসভা। পুরসভা সূত্রের খবর, ১৯৮৬ সালে তৎকালীন বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, ছ’তলা ভবনে থিয়েটার মঞ্চ, গ্যালারি, দর্শকাসন-সহ একটি বাণিজ্যিক কমপ্লেক্সও হবে। পুরসভার প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (পি অ্যান্ড ডি) দফতর এর দায়িত্বে ছিল। তৈরির আগেই নাম দেওয়া হয়েছিল বিদ্যাসাগর মঞ্চ। ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা খরচ করে কাজও শুরু হয়েছিল। টাকার অভাবে কাজ শেষ হয়নি।
অভিযোগ, সেখানে বেআইনি কাঠামো গড়ে ব্যবসা ও গুদাম খোলা হয়েছিল। পুরসভার মেয়র পারিষদ (বাজার) আমিরুদ্দিন (ববি) জানান, সেখানে বেআইনি নির্মাণ, অসামাজিক কাজ কারবার নিয়ে পুলিশে বার কয়েক জানানো হয়েছিল। একাধিক বার সে সব ভাঙা হলেও ফের গড়ে উঠেছে। তিনি জানান, পুর প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে অর্ধসমাপ্ত ভবনটি পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু সে সব কার্যক্ষেত্রে হয়নি।
পুরসভার পি অ্যান্ড ডি দফতর ভবনটি বাজার দফতরের হাতে তুলে দেয়। ভবনের এক ধারে ৬৯ জন দোকানদার নিয়ে বাজার হয়েছে। তবে মূল বিদ্যাসাগর মঞ্চ ওই অবস্থাতেই পড়ে। লালবাজারেও অভিযোগ জানিয়ে লাভ না হওয়ায় ২০১৬ সালে পুরসভা সিদ্ধান্ত নেয় ভবনটি কলকাতা পুলিশের হাতে তুলে দেবে। মেয়র পরিষদের বৈঠকে অনুমোদন নিয়ে ২০১৬-র অগস্টে সেটি কলকাতা পুলিশকে দেয়। এক পুলিশ আধিকারিক জানান, বেনিয়াপুকুর থানাটি ঘিঞ্জি এলাকায়। স্থির হয়েছিল ওই থানা অর্ধসমাপ্ত ভবনটিতে উঠে আসবে। এখনও সে কাজ কেন হয়নি, তা জানাতে পারেনি পুলিশ।
সম্প্রতি ওই ভবনটি নিয়ে বৈঠক করেছেন কলকাতার মেয়র। তিনি জানান, পুলিশকে বলা হয়েছে যত দ্রুত সম্ভব ওই জায়গা ব্যবহার করুক পুলিশ।