—প্রতীকী চিত্র।
সাইবার প্রতারণার ফাঁদে পড়ে অ্যাকাউন্টে থাকা টাকা খোয়াতে বসেছেন বুঝতে পেরেই দ্রুত রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ককে তা জানিয়েছিলেন এক তরুণী। নিয়ম মেনে অভিযোগও জানান। কিন্তু লাভ হয়নি। সাইবার প্রতারণার ফাঁদে পড়ে প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা খুইয়ে ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলছেন ওই তরুণী। বিমানবন্দর থানায় এ নিয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন তিনি।
বিমানবন্দর থানা এলাকার বাসিন্দা ওই তরুণীর অভিযোগ, মাস চারেক আগে অনলাইনে কেনা একটি জিনিস তিনি ফেরত দেন। এর পরে কুরিয়র সংস্থার নাম করে ফোন আসে। ফেরত দেওয়া প্যাকেটে নিষিদ্ধ জিনিস পাওয়া গিয়েছে বলে জানানো হয়। তাঁর ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবহার করে বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজ সংঘটিত হওয়ার প্রমাণ মিলেছে বলে জানানো হয়। বলা হয়, মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চ এর তদন্ত করবে। তরুণীর কথায়, ‘‘এর পরে মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চের নামে ফোন আসে ও আমাকে মুম্বই যেতে বলা হয়। আমি যে কিছুই করিনি, তা বলায় আমার অ্যাকাউন্ট ভেরিফিকেশন করা হবে বলে জানানো হয় এবং অ্যাকাউন্টের টাকা ওদের অ্যাকাউন্টে পাঠাতে বলা হয়।’’ তরুণীর দাবি, ভয় পেয়ে অ্যাকাউন্টে থাকা প্রায় ৪ লক্ষ ৭৭ হাজার টাকা অভিযুক্তদের অ্যাকাউন্টে পাঠানোর প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া করেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘হঠাৎই মনে হয়, সাইবার প্রতারণার শিকার হচ্ছি। অ্যাকাউন্ট থেকে তখনও টাকা না কাটায় ব্যাঙ্ককে তা আটকাতে বলি। কিন্তু ব্যাঙ্ক সাহায্য করেনি। কয়েক ঘণ্টা পরে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা উধাও হয়ে যায়।’’
ওই তরুণী ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে আরবিআইয়ের পাশাপাশি বিমানবন্দর থানায় জেনারেল ডায়েরি ও পরে লিখিত অভিযোগ করেন। তার পরেও তদন্তের কাজ এগোয়নি বলে তরুণীর অভিযোগ। এ নিয়ে তিনি বিধাননগরের নগরপালের সঙ্গে দেখা করছেন বলেও দাবি। বিধাননগর কমিশনারেটের এক কর্তা বলেন, ‘‘অভিযোগের ভিত্তিতে গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’