জাতীয় পরিবেশ আদালত। ফাইল ছবি।
সরস্বতী নদীর পাড় সংলগ্ন এলাকা থেকে দখলদারদের সরানোর প্রশ্নে রাজ্য সরকারের ভূমিকাকী, তা জানতে চেয়েছিল জাতীয় পরিবেশ আদালত। সে ব্যাপারে রাজ্যের সেচ দফতর আদালতে জানিয়েছে, দখলদারদের উচ্ছেদ প্রসঙ্গে ইতিমধ্যে হাওড়ার জেলাশাসককে নিয়ে একটি বৈঠক করা হয়েছে। তাতে সিদ্ধান্ত হয়েছে, সাঁকরাইল ও ডোমজুড় এলাকার সরস্বতী নদী সংলগ্ন পাড়ে যেখানে যেখানে দখলদার রয়েছে,সেই জমি চিহ্নিত করা হবে প্রথমে। আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে সেই সমীক্ষার কাজ সম্পূর্ণ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তার পরে আবারও একটি বৈঠক হবে সরকারি স্তরে। ওই বৈঠকে দখলদার সরানো নিয়ে কী পদক্ষেপকরা হবে, সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
যদিও রাজ্য সরকারের এই বক্তব্য ঘিরে সংশয় প্রকাশ করেছেন পরিবেশকর্মীদের একাংশ। তাঁদের বক্তব্য, শুধু সরস্বতী নদী নয়, আদিগঙ্গা থেকে শুরু করে যেখানেই পরিবেশের স্বার্থরক্ষা ওদখলদারদের প্রশ্ন এসেছে এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে এক পক্ষকে বেছে নেওয়ার কথা উঠেছে,সেখানে ধারাবাহিক ভাবে দেখা গিয়েছে যে সরকার দখলদারদের ‘পক্ষ’ নিয়েছে। উচ্ছেদ নিয়ে অহেতুক সময় নিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট মামলার আবেদনকারী সুভাষ দত্তের কথায়, ‘‘সরকারের তরফে এই সব সময় নষ্টের একটাপন্থা মাত্র। সব জায়গাতেই এই কৌশল গ্রহণ করেছেরাজ্য সরকার।’’