—প্রতীকী ছবি।
ভাড়া নিয়ে বেসরকারি অ্যাম্বুল্যান্স চালকদের দাপট নতুন কিছু নয়। অভিযোগ, রোগীর পরিবারের কঠিন অবস্থার সুযোগ নিয়ে অ্যাম্বুল্যান্স চালকেরা ইচ্ছেমতো ভাড়া হাঁকেন। এ বার সেই দাপটেই রাশ টানতে চাইছে প্রশাসন। সূত্রের খবর, সব বেসরকারি অ্যাম্বুল্যান্সকে এক ছাতার তলায় নিয়ে এসে অ্যাপের মাধ্যমে তাদের ভাড়া নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে সরকার। এর জন্য রাজ্য সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি দফতর এবং পুলিশ মিলে একটি অ্যাপ তৈরি করছে। যাতে অ্যাপ-ক্যাবের মতোই রোগীর পরিবার অ্যাম্বুল্যান্স বুক করতে পারবেন। এমনকি, যাত্রী সাথী অ্যাপের মতো ভাড়াও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হবে বলে সূত্রের খবর।
এক আধিকারিক জানান, প্রায় এক বছর হল যাত্রী সাথী অ্যাপ চালু হয়েছে। যাতে প্রথমে হলুদ ট্যাক্সিকে রাখা হলেও পরে তাতে সাধারণ গাড়িও যুক্ত করা হয়। তাতে সাফল্য আসার পরেই এ বার জেলা থেকে শুরু করে শহরের বেসরকারি অ্যাম্বুল্যান্সগুলিকেও অ্যাপের অধীনে আনার কাজ শুরু হয়েছে।
প্রশাসন সূত্রের খবর, পুজোর আগেই এই ব্যবস্থা চালু করার চেষ্টা হচ্ছে। ইতিমধ্যে কাজ অনেকটা এগিয়েও গিয়েছে। মানুষ যাতে বেসরকারি অ্যাম্বুল্যান্স চালকদের লাগামছাড়া ভাড়া হাঁকার কারণে বিপদে না পড়েন, বেশি অর্থ দিয়ে সর্বস্বান্ত না হন, সে জন্যই এই বিকল্প ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এর সঙ্গেই বেসরকারি অ্যাম্বুল্যান্স চালকদের বেআইনি সিন্ডিকেটের রমরমাও খর্ব করা যাবে বলে সূত্রের দাবি।
অন্য দিকে নবান্ন সূত্রের খবর, দশ মাস আগে যাত্রী সাথী অ্যাপ চালু হওয়ার পরে গত ১৫ জুলাই পর্যন্ত ২৪ লক্ষ যাত্রী তা ব্যবহার করেছেন। ওই অ্যাপ ব্যবহার করে প্রতিদিন গড়ে
১৮ হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘মূলত চালক এবং যাত্রীসাধারণকে চড়া সারচার্জের হাত থেকে রেহাই দিতেই ওই অ্যাপ চালু করা হয়। তাতে সাফল্য এসেছে।’’ তা মাথায় রেখেই এ বার বেসরকারি অ্যাম্বুল্যান্স চালকদের দাপট কমাতে নতুন ব্যবস্থা চালু করার পথে এগোচ্ছে নবান্ন।