—প্রতীকী ছবি।
এক দিন পেরিয়ে গেলেও দক্ষিণ দমদম পুর এলাকার ময়লাখানা রোডে প্রৌঢ়ার অস্বাভাবিক মৃত্যুর সমাধানসূত্র বেরোয়নি। কিছু তথ্য হাতে এলেও ঘটনার মোটিভ সম্পর্কে কিছু মেলেনি বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। তদন্তে গতি আনতে এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করেছে পুলিশ। বুধবার প্রৌঢ়ার দেহের ময়না তদন্ত হয়েছে। সেই রিপোর্ট এলে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। তবে পুলিশের অনুমান, ভারী কোনও বস্তু দিয়ে প্রৌঢ়ার মাথায় আঘাত করা হয়েছিল।
মৃতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে প্রৌঢ়ার গলার হার উধাও হওয়া ছাড়া লুটপাটের কোনও তথ্য মেলেনি। ওই বাড়িতে ঘটনার দিন কেউ গিয়েছিলেন কি না, তা দেখছে পুলিশ। প্রৌঢ়ার মোবাইল ঘেঁটে তথ্য খোঁজারও চেষ্টা চলছে।
মঙ্গলবার ময়লাখানা রোডে নিজের বাড়ির একতলা থেকে অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ককর্মী তারা শর্মার (৬৮) দেহ উদ্ধার হয়। তদন্তে জানা যায়, ওই দিন সকালে প্রৌঢ়াকে দেখা গেলেও পরে তাঁর খোঁজ মিলছিল না। গৃহ-সহায়িকা কাজে গিয়ে দেখেন, দোতলার ঘরের দরজা-জানলা খোলা। কিন্তু একতলার মূল দরজা বাইরে থেকে তালাবন্ধ। প্রৌঢ়ার সাড়া না পেয়ে গৃহ-সহায়িকা তাঁর মেয়েকে ফোন করেন।
টিটাগড়ের বাসিন্দা মেয়েও মাকে ফোন করে সাড়া না পেয়ে দমদমে চলে আসেন। দরজার তালা ভেঙে দেখা যায়, প্রৌঢ়া মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন। খবর পেয়ে আসে পুলিশ। নমুনা সংগ্রহে খবর দেওয়া হয়েছে ফরেন্সিক দলকে।
এক পুলিশকর্তা জানান, ঘটনায় শত্রুতা বা সম্পত্তি সংক্রান্ত যোগ রয়েছে কি না, দেখা হচ্ছে। আশপাশের বাড়িতে লুট হয়েছে কি না, খোঁজ চলছে। দক্ষিণ দমদমেই এর আগে দু’টি ঘটনায় এক বৃদ্ধ ও এক বৃদ্ধা খুন হন। তখন যথাক্রমে গাড়িচালক ও মালিকে ধরা হয়েছিল। এ ক্ষেত্রেও তেমন বহিরাগতের যোগ আছে কি না, দেখা হচ্ছে।