Protest

আন্দোলনে দিশা কই, আজ ফের পথে পড়ুয়ারা

আবার শহরের পথে মিছিলের ডাক দিলেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পড়ুয়ারা। সোমবার দুপুরে নাগরিক মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে।এই অনশন কর্মসূচি রবিবার ১১ দিনে পা দিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০২২ ০৫:২০
Share:

কলকাতা মেডিক্যালের অচলাবস্থার জেরে আগামী দিনে রোগী পরিষেবা কতটা ব্যাহত হবে, সেটাও দেখার বলেই মন্তব্য অনেকের। —ফাইল ছবি

ফের শহরের পথে মিছিলের ডাক দিলেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পড়ুয়ারা। ছাত্র সংসদের নির্বাচনের দাবিতে কয়েক দিন আগেও মেডিক্যাল থেকে মিছিল করে ধর্মতলা গিয়ে সেখান থেকে ফের হাসপাতালের অনশন মঞ্চে ফিরে এসেছিলেন আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা। ওই মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারাও। আজ, সোমবার দুপুরে ফের নাগরিক মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

এ দিকে, কলকাতা মেডিক্যালের পড়ুয়াদের অনশন কর্মসূচি রবিবার ১১ দিনে পা দিল। এ দিন আন্দোলনকারীদের তরফে অনিকেত কর বলেন, ‘‘রাজপথে গণতন্ত্র বাঁচানোর মিছিলের মাধ্যমে অন্ধ-বধির প্রশাসনকে জাগানো যায় কি না, সেটাই দেখার।’’ কলকাতা মেডিক্যালে কাজের উপযুক্ত পরিবেশ না থাকা এবং মানসিক অস্থিরতার কারণ দেখিয়ে আপাতত স্বাস্থ্য ভবন থেকে কাজ চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অধ্যক্ষ এবং উপাধ্যক্ষ। এ দিন সেই বিষয়ে অনিকেত বলেন, ‘‘অনশন মঞ্চের আশপাশে কোনও ওয়ার্ড নেই। আমরা কেউ রোগী পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত নই। কর্তৃপক্ষের উপরে এই পরোক্ষ মানসিক চাপ আসলে উপরমহলের।’’ আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, ১১ দিন ধরে অনশন চললেও আলোচনার সব পথ বন্ধ করে দিয়ে, ফের রোগী পরিষেবা ব্যাহত করার চক্রান্ত করছেন কর্তৃপক্ষ।

স্বাস্থ্য প্রশাসনের কর্তাদের দাবি, ‘‘বিভিন্ন ভাবে পড়ুয়াদের বোঝানোর পরেও তাঁরা নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড়। আন্দোলনের নেপথ্যে নিশ্চয় কারও মদত রয়েছে।’’ এ দিন ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (আইএমএ) রাজ্য শাখার তরফে জানানো হয়েছে, সংগঠনগত ভাবে হবু চিকিৎসকদের বিষয়ে প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। আইএমএ-র রাজ্য সম্পাদক, সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, ‘‘ছাত্রেরা একটি দাবি নিয়ে আন্দোলন, অনশন করছেন। সেই দাবিকে রাজনৈতিক দলগুলি যদি বাইরে থেকে মদত দেয়, তা অত্যন্ত অবাঞ্ছিত এবং অনভিপ্রেত। ছাত্রদের বিষয়ে রাজনৈতিক দলের মাথা না ঘামানোই উচিত।’’ যদিও আন্দোলনকারীদের দাবি, তাঁরা কোনও রাজনৈতিক দলের মদতে বা কথায় কিছু করছেন না। যা করছেন, তা নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার লড়াইয়ের জন্য। বরং তাতে বাধা সৃষ্টি করে পরিস্থিতি জটিল করছে শাসকদল। অনিকেতদের দাবি, রাজ্যের বিভিন্ন কলেজে পড়ুয়াদের নিজেদের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াই প্রয়োজন। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ থেকে তার সূচনা। কিন্তু এই আন্দোলনের ভবিষ্যৎ কী, কিংবা তা কোন পথে যাবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। স্বাস্থ্য দফতর থেকে শুরু করে রাজ্য প্রশাসনও কার্যত মুখে কুলুপ এঁটেছে। ফলে কলকাতা মেডিক্যালের অচলাবস্থার জেরে আগামী দিনে রোগী পরিষেবা কতটা ব্যাহত হবে, সেটাও দেখার বলেই মন্তব্য অনেকের।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement