পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ফাইল চিত্র।
কলকাতা পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি আগেই খারিজ করেছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। রাজ্য পুলিশের উপরই যে তাদের আস্থা রয়েছে মঙ্গলবার ফের তা জানাল কমিশন। কমিশনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, রাজ্যের সশস্ত্র পুলিশ দিয়েই হবে পুরভোট। গত বারের থেকে এ বারের ভোটে বেশি পুলিশ ব্যবহার করা হবে। ভোটগ্রহণের দিন প্রায় ২৩ হাজারের বেশি পুলিশ মোতায়েন থাকবে কলকাতার বুথগুলিতে। এ ছাড়া সিসিটিভি ও ভিডিয়োগ্রাফির ব্যবস্থাও থাকবে বলে জানিয়েছে কমিশন।
পুরভোটে কলকাতায় মোট বুথের সংখ্যা ৪৯৫৯। এর জন্য মোট ১৬৭০টি ভোটগ্রহণ কেন্দ্র করেছে কমিশন। কমিশনের তরফে জানা গিয়েছে, প্রতি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে কমপক্ষে দু'জন সশস্ত্র পুলিশকর্মী থাকবেন। এ ছাড়া অতিরিক্ত হিসাবে থাকবে লাঠিধারী পুলিশ। নিরাপত্তায় জোর দিতেও একাধিক পদক্ষেপ করেছে কমিশন। জানা গিয়েছে, ভোটের দিন কমিশন ব্যবহার করবে ৩৫টি হেভি রেডিয়ো ফ্লাইং স্কোয়াড, ৭৮টি কুইক রেসপন্স টিম, ৮০টি স্ট্রাইকিং ফোর্স। এবং স্পর্শকাতর বুথ-সহ ২৫ শতাংশ বুথে থাকবে সিসিটিভি বা ভিডিয়োগ্রাফির বন্দোবস্ত। এ ছাড়া ওই দিন থাকছে আরটি মোবাইল ভ্যান।
কলকাতা পুরসভায় ১৬টি বরো রয়েছে। কমিশন সূত্রে খবর, ভোটের নজরদারির জন্য প্রতি বরোতে থাকবেন এক জন করে পর্যবেক্ষক। এক জন করে বিশেষ পর্যবেক্ষক থাকবেন প্রতি চারটি বরোতে। পুরভোটে বার বার কেন্দ্রীয় বাহিনী দাবি করেছে বিজেপি। মঙ্গলবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও কমিশনের অফিসে গিয়ে ওই একই দাবিতে সরব হন। কমিশনের এক আধিকারিক জানান, পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে না তা এক প্রকার চূড়ান্ত। তবে নির্বিঘ্নে ভোট করাতে কমিশন সব রকম ব্যবস্থা নেবে। মঙ্গলবার বিকেলেও বিরোধী দলনেতাকে সে কথা জানিয়েছে কমিশন।