এসএসকেএম হাসপাতাল। ফাইল চিত্র
রোগীর চাপ যেমন আছে, তেমনই রয়েছে পরিকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধাও। মঙ্গলবার প্রকল্প উদ্বোধনের মঞ্চ থেকে সতীর্থদের এ কথাই স্মরণ করিয়ে দিলেন এসএসকেএমের অধিকর্তা মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রসঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রী তথা রোগী-কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান অরূপ বিশ্বাস জানান, ওই হাসপাতালের পরিষেবা নিয়ে কিছু অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে গিয়েছে।
এ দিন কালিয়াগঞ্জের কলেজ মাঠের সভা থেকে একযোগে এসএসকেএমের সাতটি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এসএসকেএম এবং বাঙুর ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সের নতুন ওপিডি ভবন ছাড়াও সেই তালিকায় রয়েছে পিজি পলিক্লিনিক, ইনস্টিটিউট অব ওটোরাইনোল্যারিঙ্গোলজি, সংস্কারের পরে নতুন রূপে সজ্জিত উডবার্ন ব্লক, প্রশাসনিক ভবন এবং মর্গের আধুনিকীকরণ। সেই পর্ব মেটার পরে অ্যাকাডেমিক বিল্ডিংয়ের প্রেক্ষাগৃহে বিভাগীয় প্রধানদের উপস্থিতিতে অধিকর্তা বলেন, ‘‘সব সময়ে অভিযোগ শুনি, উফ আর পারছি না! সমস্ত চাপ এসএসকেএমে। কিন্তু এটাও মনে রাখবেন, সরকারের তরফে সমস্ত রকম সহযোগিতা, বেশি আর্থিক অনুদান, চিকিৎসক, নার্সদের পদ তৈরি এবং পোস্টিং একমাত্র এসএসকেএম-ই পায়!’’
অধিকর্তা যেখানে শেষ করেছেন, কার্যত সেখান থেকেই বলা শুরু করেন রোগী-কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান। তিনি জানান, মন্ত্রিসভার প্রায় প্রতিটি বৈঠকে আর কোথাও পদ তৈরি না হলেও এসএসকেএমের নিয়োগ হয়েই চলেছে। এর পরেই মন্ত্রী বলেন, ‘‘গরিব, প্রান্তিক মানুষ সরকারি হাসপাতালে অনেক আশা নিয়ে আসেন। তাঁদের পরিষেবা দেওয়ার প্রশ্নে কোথাও যেন ফাঁক না থাকে। কিছু অভিযোগ স্বাস্থ্য দফতর, মুখ্যমন্ত্রীর দফতর এবং আমাদের কাছে আসে। পরিষেবাকে যদি সেবা হিসেবে দেখতে পারি, তা হলে এসএসকেএম এক দিন দেশের সেরা হাসপাতালে পরিণত হবে।’’ সুপার তথা উপাধ্যক্ষ রঘুনাথ মিশ্র জানান, ২০১৪ সালের তুলনায় ২০১৯-এ রোগীর সংখ্যা দ্বিগুণের বেশি হলেও মৃত্যুর হার কমেছে।
বস্তুত, এসএসকেএমের প্রাপ্তিযোগ নিয়ে অন্য মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকদের মধ্যেও জল্পনা প্রচুর। পরিকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার নিরিখে এসএসকেএম যে সব সময়েই অগ্রাধিকার পায়, তা নিয়ে প্রায়ই আক্ষেপ করেন চিকিৎসকদের ওই অংশ। সে দিক থেকে এ দিন অধিকর্তার মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ।