—প্রতীকী ছবি।
কিসের ভিত্তিতে সবুজ বাজিকে দূষণমাত্রার নিরিখে ‘হোয়াইট’ বা সাদা তালিকাভুক্ত করা হয়েছে, রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কাছে তা জানতে চাইল জাতীয় পরিবেশ আদালত। চলতি মাসেই বাজি সংক্রান্ত এক মামলার শুনানিতে পর্ষদের কাছে ওই ব্যাখ্যা চেয়েছে তারা। প্রসঙ্গত, দূষণ সূচকের মাত্রার নিরিখে দেশের শিল্পক্ষেত্রকে চারটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে— লাল (দূষণ সূচক ৬০ বা তার বেশি), কমলা (দূষণ সূচক ৪১ থেকে ৫৯), সবুজ (দূষণ সূচক ২১ থেকে ৪০) ও সাদা (দূষণ সূচক ২০ পর্যন্ত)। গত বছর রাজ্য সরকার সবুজ বাজির উৎপাদন ও মজুতকে বিপজ্জনক ‘লাল’ থেকে দূষণহীন ‘সাদা’ বিভাগে পরিবর্তন করে। তা নিয়ে বিভিন্ন মহল সরব হয়। রাজ্যে বেআইনি বাজি কারখানার বিষয়ে পরিবেশ আদালতে মামলা দায়ের হয়।
সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। সেই মতো গত নভেম্বরে পর্ষদের তরফে হলফনামা জমা দেওয়া হয়। তা দেখেই পরিবেশ আদালত মন্তব্য করে, সংশ্লিষ্ট হলফনামায় এটা স্পষ্ট করে বলা নেই, কেন সবুজ বাজিকে ‘সাদা’ তালিকাভুক্ত করা হয়েছে এবং কী ভাবেই বা এই সবুজ বাজি বাজারচলতি অন্য নিষিদ্ধ এবং পরিবেশের পক্ষে ক্ষতিকর বাজির থেকে আলাদা। সেই সূত্রেই পরিবেশ আদালতের পূর্বাঞ্চলীয় বেঞ্চ পর্ষদকে অতিরিক্ত হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। যেখানে পর্ষদকে ব্যাখ্যা করতে হবে ‘সাদা’ তালিকাভুক্ত সবুজ বাজি এবং ‘লাল’ তালিকাভুক্ত বাজির মধ্যে তফাত কী।
প্রসঙ্গত, সংশ্লিষ্ট মামলায় ‘দ্য পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড এক্সপ্লোসিভস সেফটি অর্গানাইজ়েশন’ (পেসো), কেন্দ্রীয় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রক-সহ একাধিক পক্ষ যুক্ত রয়েছে। আদালত কেন্দ্রীয় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রককে ‘সাদা’ তালিকাভুক্ত সবুজ বাজি এবং সাধারণ বাজি নিয়ে তাদের অবস্থান জানানোর নির্দেশ দিয়েছে। দুই পক্ষকেই পাল্টা হলফনামা জমা দেওয়ার জন্য তিন সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে। মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি।