হাতে মােরর দাগ দেখাচ্ছেন তানজিলা বিবি। নিজস্ব চিত্র
জমি বিক্রির প্রতিবাদ করেছিলেন প্রৌঢ়া। অভিযোগ, তার জন্য বাঁশ দিয়ে মাকে মারধর করল ছেলে। মাকে বাঁচাতে এসে বেধড়ক মার খেল মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী মেয়েও। প্রতিবেশীরা প্রৌঢ়াকে উদ্ধার করে চিকিৎসক ডেকে আনলেও ওষুধ কিনতে ছেলে বাধা দেয় বলে অভিযোগ। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দেগঙ্গার আমুলিয়ার দক্ষিণ বরুণি এলাকায়। বৃহস্পতিবার ছেলের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান মা তানজিলা বিবি।
তানজিলার অভিযোগ, তাঁর একটি কিডনি দীর্ঘদিন বিকল। ১১ বছর আগে স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে এক ছেলে ও তিন মেয়েকে বড় করেছেন তিনি। ছেলে বিয়ে করে মা ও বোনেদের দায়িত্ব নিতে রাজি হয়নি। এই অবস্থায় তিন মেয়েকে নিয়ে তিনিই সংসার চালাছেন। পারিবারিক জমি লিজে দিয়ে সেই টাকায় মেয়েদের পড়াশোনা চলে। এ দিন তানজিলা বলেন, ‘‘ওই জমি ছেলে বিক্রি করে দিতে চাইছে। জমি বিক্রি করলে আমার চিকিৎসা ও মেয়েদের পড়ার খরচ জোগাব কোথা থেকে?’’
আগামী সোমবার মাধ্যমিক শুরু হচ্ছে তানজিলার মেয়ে সাবিরা খাতুনের। সাবিরা বলে, ‘‘বুধবার রাতে জমি লিখে দেওয়ার জন্য মা রাজি না হওয়ায় দাদা বাঁশ দিয়ে মাকে মারতে থাকে। আমার মাথায় ইট দিয়ে মারে। মারের হাত থেকে রেহাই পায়নি দুই বোনও।’’ এ দিন দেগঙ্গা থানার সামনে কাঁদতে কাঁদতে সাবিরা আরও বলে, ‘‘মাথায় খুব যন্ত্রণা হচ্ছে। এ ভাবে পড়াশোনা করে সোমবার পরীক্ষা দিতে পারব কি না জানি না।’’ এ দিনই স্থানীয় বিশ্বনাথপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসার
পরে থানায় অভিযোগ করেন প্রৌঢ়া। তবে অভিযুক্ত যুবকের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।