কলকাতা পুরসভা। —ফাইল চিত্র।
কলকাতা পুরসভার সদর দফতরে সাপ মারার ঘটনায় তদন্ত শুরু করল বন দফতর। মঙ্গলবার বিকেলে বন দফতরের চার জন আধিকারিক পুর কমিশনার ধবল জৈনের সঙ্গে দেখা করেন। বন দফতরের উপ বনপাল (বন্যপ্রাণ) কল্যাণ রাই এ দিন বলেন, ‘‘সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত দাঁড়াশ সাপ মারার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা তদন্ত শুরু করেছি। আজ দফতরের আধিকারিকেরা কলকাতা পুরসভায় গিয়ে রিপোর্ট চেয়েছেন। পুরসভার রিপোর্ট হাতে পেলেই যথাযথ পদক্ষেপ করব।’’
এ দিন বন দফতরের আধিকারিকেরা পুর কমিশনারের সঙ্গে দেখা করে সোমবারের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে একটি রিপোর্ট দেন। পরে তাঁরা পুরসভার আরও একাধিক আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলেন। তদন্তকারী দলের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘প্রাথমিক ভাবে কয়েক জন পুর আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলেছি। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের সত্যতা যাচাইয়ে কমিশনারের কাছে রিপোর্ট চেয়েছি। কমিশনার আশ্বস্ত করে জানিয়েছেন, আমাদের দ্রুত রিপোর্ট দেবেন। ফের শীঘ্রই পুরভবনে গিয়ে তদন্তের কাজ শুরু করব।’’
প্রসঙ্গত, সোমবার পুরসভার সদর দফতরের ট্রেজ়ারি বিভাগে ছ’ফুট লম্বা একটি দাঁড়াশ সাপকে ঘিরে প্রবল আতঙ্ক ছড়ায়। পরে কেয়ারটেকারের কর্মীরা এসে সাপটিকে মেরে ফেলেন বলে অভিযোগ। সাপটিকে যে মেরে ফেলা হয়েছে, তা এ দিনও অনেকে স্বীকার করেন। পুরসভার ট্রেজ়ারি বিভাগের সামনে হরিণঘাটার মাংসের দোকানের এক মহিলা কর্মী বলেন, ‘‘সে দিন দেখেছিলাম, সাপটিকে মেরে জুতোর বাক্সে ভরে, বস্তায় মুড়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।’’ পুরসভায় কর্মরত এক শ্রমিকের কথায়, ‘‘সাপটিকে মেরে বস্তায় ভরে মেয়র্স গেটের পাশে ডাস্টবিনে ফেলতে দেখেছি।’’ এ দিন সকাল থেকে ট্রেজ়ারি বিভাগের আশপাশ পরিষ্কার করেন কেয়ারটেকারের কর্মীরা। যদিও ট্রেজ়ারি বিভাগের সামনে আবর্জনা পড়ে ছিল। তবে, ইঁদুর ও সাপ নিয়ে আতঙ্কে ভুগছেন অনেক কর্মচারীই। ট্রেজ়ারার সুস্মিতা কুণ্ডু বলেন, ‘‘এত বড় সাপ এই প্রথম দেখলাম। রয়েছে ইঁদুরের অত্যাচারও।’’