প্রতীকী ছবি
লকডাউনের মধ্যেই মঙ্গলবার রাতে বড়বাজারের একটি বহুতলে আগুন লাগে। তা নিয়ন্ত্রণে আনতে বুধবার দুপুর পর্যন্ত সময় লাগে দমকলের। কেউ হতাহত না হলেও পুরনো ওই বহুতলটির বেশ কয়েকটি গুদাম ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
রাত পর্যন্ত আগুন লাগার কারণ জানায়নি পুলিশ এবং দমকল। পুরসভা খতিয়ে দেখে বাড়িটির বিপজ্জনক অংশ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেবে বলে দমকলের তরফে জানানো হয়েছে। আজ, বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থলে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের যাওয়ার কথা।
বড়বাজারের নেতাজি সুভাষ রোডের ৯১ নম্বর বাড়ি থেকে পুলিশে আগুন লাগার খবর যায় মঙ্গলবার রাত দেড়টা নাগাদ। দমকলের ছ’টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। দমকলের দাবি, ঘিঞ্জি ওই বহুতলে ঢুকতে সমস্যা হচ্ছিল। একতলায় এমন ভাবে বেশ কয়েকটি গুদাম ঘর বানানো হয়েছে যে আগুনের উৎস খুঁজতেও সমস্যা হয় দমকলের। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা গিয়েছে ধরে নিয়ে দমকল কয়েকটি ইঞ্জিন ফিরিয়ে দেয়। কিন্তু ভিতর থেকে ধোঁয়া বার করতে গিয়ে দমকলকর্মীরা দেখেন, ‘পকেট ফায়ার’ জারি রয়েছে। তা থেকেই ফের অন্য এক গুদামে আগুন ধরে যায়। নতুন করে শুরু হয় আগুন নেভানোর চেষ্টা। এ দিন বেলা তিনটে নাগাদ আগুন সম্পূর্ণ নিভে গিয়েছে বলে দমকল জানায়।
বহুতলটির রক্ষী উত্তম কুমার জানান, তাঁর ভাই দিলীপ কুমার বহুতলের প্রবেশপথের মুখে ঘুমোন। তিনিই আগুন দেখতে পেয়ে ১০০ নম্বরে ফোন করেন। উত্তমের দাবি, ‘‘একতলার যে গুদামে আগুন লাগে সেখানে বেশ কিছু প্লাস্টিকের জিনিস ছিল। তা থেকেই আগুন দ্রুত ছড়ায়।’’ গুদামের মালিক রাকেশ গুপ্ত বলেন, ‘‘লকডাউনে এমনিই আয় শূন্য। তার মধ্যে প্রচুর টাকার ক্ষতি হয়ে গেল।’’