—প্রতীকী চিত্র।
পুরসভার নিকাশির কাজ ঘিরে ভোগান্তির আশঙ্কা বি বা দী বাগ অঞ্চলে। ইতিমধ্যেই এই কাজের জন্য লালবাজারের তরফে একাধিক রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করার কথা বলা হয়েছে। জানানো হয়েছে বিকল্প পথের কথাও। পুলিশের তরফে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হলেও অফিসপাড়ার পার্কিং থেকে শুরু করে যান চলাচল ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা যাচ্ছে না।
জানা গিয়েছে, বি বা দী বাগে জল জমার সমস্যা দূর করতে লালবাজার স্ট্রিট এবং আর এন মুখার্জি রোডের মোড় থেকে হেমন্ত বসু সরণি ও গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউয়ের একাংশে রাস্তা খুঁড়ে নিকাশির পাইপ বসানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। শনিবার রাত দশটা থেকে এই কাজ শুরু হয়। দ্রুত কাজ শেষ করার কথা পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারেরা জানালেও নির্দিষ্ট করে তাঁরা কিছু বলতে পারেননি। এই কাজের জেরে ধর্মতলা এড়িয়ে হাওড়ায় যাওয়ার একাধিক রাস্তায় ভোগান্তির আশঙ্কা থাকছে।
যদিও কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশ বিকল্প একাধিক ব্যবস্থার কথা জানিয়েছে। জানা গিয়েছে, গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউ (পূর্ব থেকে পশ্চিম) ধরে আসা গাড়িগুলিকে চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ হয়ে বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিট-লালবাজার স্ট্রিটে ঘুরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা হয়েছে। ব্রেবোর্ন রোডের উত্তর থেকে দক্ষিণমুখী গাড়িগুলি বি বা দী বাগ (পূর্ব) দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হবে। এই অঞ্চলে চলা সরকারি-বেসরকারি বাসগুলির জন্যও থাকছে বিকল্প ব্যবস্থা। লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, বি বা দী বাগের গাড়ির চাপ কমাতে ডোরিনা ক্রসিংকেও ব্যবহার করা হবে।
শুধু গাড়ি চলাচলে ভোগান্তি নয়, পার্কিংয়ের ক্ষেত্রেও বড় ভোগান্তির আশঙ্কা থাকছে। বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট-সহ অফিসপাড়ার রাস্তার দু’পাশে একাধিক গাড়ি রাখা থাকে। ওই
সব রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় আদৌ গাড়ি রাখা যাবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ থাকছে। লালবাজারের ট্র্যাফিক বিভাগের এক কর্তার কথায়, ‘‘যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে বিকল্প একাধিক ব্যবস্থা হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশকর্মীও থাকবেন। পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’