—প্রতীকী চিত্র।
বছর শেষ হতে চললেও ডেঙ্গির প্রকোপ এখনও সম্পূর্ণ ভাবে নির্মূল হয়নি। দক্ষিণ দমদম পুর প্রশাসনের আশা, তাপমাত্রার পারদ আরও নামলে এর প্রাদুর্ভাব কমতে পারে। তবে, চলতি বছরের অভিজ্ঞতা বিবেচনায় রেখে আগামী বছরে বারো মাস ধরেই মশা নিয়ন্ত্রণ, বিশেষত ডেঙ্গি প্রতিরোধের কাজ চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পুর কর্তৃপক্ষ।
পুরসভা সূত্রের খবর, চলতি বছরে ডেঙ্গি এবং জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন আট জন। পুর এলাকায় সংক্রমিতের সংখ্যা তিন হাজার ছাড়িয়েছে। আপাতত সংক্রমণের লেখচিত্র অনেকটা নিম্নমুখী হলেও তা পুরোপুরি বন্ধ হয়নি।
পুর প্রশাসন জানাচ্ছে, সাধারণত প্রাক্-বর্ষার মরসুম থেকে শুরু করে কয়েক মাস ধরে মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধের কাজ চলে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে দেখা যাচ্ছে, যখন তাপমাত্রা কম থাকছে কিংবা জল জমার সমস্যা তেমন থাকছে না, তখনও ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটছে। সে কারণেই সিদ্ধান্ত হয়েছে, বছরভর মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে কাজ চালিয়ে যাওয়া হবে। বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে তথ্য সংগ্রহ এবং সচেতনতার প্রচারে। জল যাতে জমতে না পারে, নজর রাখা হবে সে দিকেও।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, চলতি বছরে হাতে গোনা কয়েক মাস ছাড়া অধিকাংশ সময়ে ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে কার্যত হিমশিম খেয়েছে পুরসভা। যদিও পুর প্রশাসনের একাংশ আবার এর দায় চাপাচ্ছেন বাসিন্দাদের উপরেই। তাঁদের বক্তব্য, সংক্রমণ যখন বেশি ছিল, সেই সময়েও অনেকের মধ্যে সচেতনতার অভাব দেখা গিয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে জ্বর হলে ঠিক সময়ে চিকিৎসা বা রক্ত পরীক্ষা করাননি অনেকে। পাশাপাশি, একাংশের মধ্যে তথ্য গোপনের প্রবণতাও বাড়িয়েছে সমস্যার মাত্রা। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাসিন্দাদের বক্তব্য, সমস্যা মেটানোর জন্য সদিচ্ছা দরকার। সরকারি বিভিন্ন কর্মসূচি পালনে সকলকে নিয়ে প্রশাসনের যে তৎপরতা দেখা যায়, ডেঙ্গি প্রতিরোধেও সে ভাবেই এগিয়ে আসতে হবে।
দক্ষিণ দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান পারিষদ (স্বাস্থ্য) সঞ্জয় দাস জানান, নিচু এলাকাগুলি ছাড়াও পরিত্যক্ত কারখানা, গুদামে জল জমার সমস্যা যেমন রয়েছে, তেমন রয়েছে সচেতনতার অভাবও। সমস্ত দিক ভেবেই সারা বছর ডেঙ্গি প্রতিরোধে কাজ চালানোর সিদ্ধান্ত।