—প্রতীকী চিত্র।
গত সেপ্টেম্বরে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল এক কিশোরী। পরিবারের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে বিহার থেকে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে এসেছিল পুলিশ। মাসখানেক সরকারি হোমেও ছিল সে। দুর্গাপুজোর আগে হোম থেকে ওই কিশোরীকে বাড়িতে নিয়ে যান পরিবারের সদস্যেরা। রবিবার সন্ধ্যায় ঘর থেকে উদ্ধার হল তার ঝুলন্ত দেহ। ঘটনাটি ঘটেছে ফুলবাগান থানা এলাকায়। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর পনেরোর ওই কিশোরী ফুলবাগান থানা এলাকার একটি স্কুলে নবম শ্রেণিতে পড়ত। মা-বাবার সঙ্গেই থাকত সে। তার মা-বাবা রাস্তার ধারে ছোট একটি খাবারের দোকান চালান। রবিবার সন্ধ্যায় তাঁরা কেউ বাড়িতে ছিলেন না। দোকানে গিয়েছিলেন। বাড়িতেই ছিল ওই কিশোরী। মেয়ের খেয়াল রাখতে তার কাকাকে বলে গিয়েছিলেন মা-বাবা। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্ধ্যা নাগাদ ওই কিশোরী জামাকাপড় বদলানোর জন্য কাকাকে ঘরের বাইরে যেতে বলে। কাকা বাইরে গেলে ভিতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেয় সে। দীর্ঘ সময় পরেও মেয়েটি দরজা না খোলায় সন্দেহ হয় কাকার। দরজায় ধাক্কা দিয়েও কিশোরীর কোনও সাড়াশব্দ মেলেনি। পরে ভিতরে ঢুকে তার ঝুলন্ত দেহ পাওয়া যায়। দ্রুত তাকে ইএম বাইপাসের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে জানান।
মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশায় পরিবারের সদস্যেরা। মৃতার মায়ের কথায়, ‘‘পুজোর আগে একটি ছেলেকে ভালবেসে বিহারে চলে গিয়েছিল। পুলিশ গিয়ে ওকে নিয়ে আসে। তবে ইদানীং ওই ছেলেটির সঙ্গে কোনও সম্পর্ক ছিল না। কেন এমন করল, বুঝতে পারছি না।’’