ফাইল ছবি
দু’টি বাসের রেষারেষির মাঝে পড়ে বৃহস্পতিবার হাজরা মোড়ে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় স্কুটারচালক লক্ষ্মণকুমার মহারানার। জানা গিয়েছে, সংসারের যাবতীয় দায়িত্ব ছিল বছর চুয়ান্নের লক্ষ্মণকুমারের কাঁধেই। সদ্য কলেজ পাশ করেছেন মেয়ে। প্রৌঢ়ের মৃত্যুতে গোটা পরিবারের কী হবে, এই প্রশ্নে প্রশাসনের উপরে ভরসা রাখছেন মৃতের পরিচিতেরা।
বৃহস্পতিবারের ওই রেষারেষি চলছিল দু’টি সরকারি এবং বেসরকারি বাসের মধ্যে। তদন্তে দুর্ঘটনাগ্রস্ত সরকারি বাসের কোনও মামলা-সংখ্যা মেলেনি। তবে জানা গিয়েছে, ২৫৯টি মামলার বোঝা নিয়ে চলছিল বারাসত-বটানিক্যাল রুটের বেসরকারি বাসটি! শুক্রবার দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাস দু’টির ফরেন্সিক পরীক্ষা করানো হয়। বাসের যান্ত্রিক কোনও ত্রুটি ছিল কি না, সেই দিকটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। ওই রাতেই গ্রেফতার করা হয়েছে দু’টি বাসের চালককে। এ দিন ধৃতদের আলিপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক সোমবার পর্যন্ত পুলিশি হেফাজত দেন।
পুলিশ সূত্রের খবর, শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি রোডে দু’টি বাসের মাঝে পড়ে একটির চাকায় পিষ্ট হন বাঁশদ্রোণীর বাসিন্দা, স্কুটারচালক লক্ষ্মণকুমার। তাঁকে এসএসকেএমে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করা হয়। শুক্রবার দুপুরেই এসএসকেএম হাসপাতালে প্রৌঢ়ের দেহের ময়না তদন্ত হয়। এর পরেই দেহ তুলে দেওয়া হয় পরিবারকে।