রবিবার রাত পৌনে আটটা নাগাদ স্কুলপড়ুয়াদের নিয়ে চড়ুইভাতি থেকে ফিরছিল ৭৮ নম্বর রুটের ওই বেসরকারি বাসটি। ফাইল ছবি।
সিগন্যালে আচমকা দাঁড়িয়ে পড়া লরির পিছনে ধাক্কা মারল স্কুলপড়ুয়াদের নিয়ে আসা একটি বাস। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ওই বাসের চালকের। জখম হয়েছেন শিক্ষক ও পড়ুয়া মিলিয়ে প্রায় ২০ জন। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে সোদপুরে, বি টি রোড ও রাজা রোডের সংযোগস্থলে। তবে বাসচালকেরনাম-পরিচয় জানা যায়নি।
পুলিশ সূত্রের খবর, রবিবার রাত পৌনে আটটা নাগাদ স্কুলপড়ুয়াদের নিয়ে চড়ুইভাতি থেকে ফিরছিল ৭৮ নম্বর রুটের ওই বেসরকারি বাসটি। রাজা রোড ক্রসিংয়ে সিগন্যাল লাল হওয়ায় আচমকা দাঁড়িয়ে পড়ে একটি লরি। ঠিক পিছনেই দ্রুত গতিতে আসছিল বাসটি। লরির পিছনে সজোরে ধাক্কা মারায় প্রবল আওয়াজ হয়। চমকে ওঠেন পথচারীরা। ঘটনাস্থলে দ্রুত পৌঁছয় পুলিশ। রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় বাসচালককে। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে রাতের দিকে সেখানেই মারা যান তিনি। আহত পড়ুয়া এবং শিক্ষকদের প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এই দুর্ঘটনার জেরে প্রায় ঘণ্টাখানেক বি টি রোডের ব্যারাকপুরগামী লেন আটকে থাকে। জানা গিয়েছে, টিটাগড়ের একটি প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়াদের নিয়ে বিড়ায় চড়ুইভাতিতে গিয়েছিলেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। ফেরার সময়ে সোদপুরের রাজা রোডের কাছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি সিগন্যালে দাঁড়ানো লরিতে ধাক্কা মারে। পড়ুয়া ও শিক্ষকদের কয়েক জন জানান, সোদপুর ট্র্যাফিক মোড় ছাড়ার পর থেকেই বাসচালক অসুস্থ বোধ করছিলেন। প্রাথমিক ভাবে অনুমান, তিনি হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ায় নিয়ন্ত্রণ হারান। তাঁকে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রাতে সেখানেই মারা যান তিনি।