সিকিমের পাকিয়ং বিমানবন্দর। ফাইল চিত্র।
সিকিমের পাকিয়ং বিমানবন্দরে উড়ান বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিল বেসরকারি বিমান সংস্থা স্পাইসজেট। ওই বিমানবন্দরের পরিচালন সংস্থাকে দেওয়া চিঠিতে স্পাইসজেট জানিয়েছে, ‘পরিচালনাগত প্রয়োজনীয়তার কারণে আগামী ৩০ অক্টোবর থেকে পরবর্তী বিজ্ঞপ্তি জারি না হওয়া পর্যন্ত সমস্ত বিমান চলাচল বন্ধ রাখা হবে।’
২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সিকিমের প্রথম বিমানবন্দর পাকিয়ংয়ের উদ্বোধন করেছিলেন। সে বছরই অক্টোবর থেকে কলকাতা, দিল্লি ও গুয়াহাটির সঙ্গে বিমান চলাচল শুরু হয়েছিল। বর্তমানে কেবল মাত্র স্পাইসজেটেরই কম খরচের উড়ান পরিষেবা রয়েছে সিকিমের এক মাত্র বিমানবন্দর পাকিয়ংয়ে। সেখানে যাতায়াত করে টার্বোপপ বিমান।
বিমান চলাচল নিয়ামক সংস্থা ‘ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল অ্যাভিয়েশন’ (ডিজিসিএ)-এর একটি সূত্র জানাচ্ছে, সম্প্রতি স্পাইসজেটের একাধিক টার্বোপপ বিমানে উড়ানের সময় ইঞ্জিনে ধোঁয়া-সহ নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে। তারই জেরে বিমানগুলি পরীক্ষার উদ্দেশ্যে সাময়িক ভাবে উড়ান বন্ধের এই সিদ্ধান্ত। কানাডার ডি হ্যাভিল্যান্ড সংস্থার নির্মিত ওই কিউ-৪০০ টার্বো-ইঞ্জিন বিমানে পাইলট, বিমানকর্মী ও যাত্রী-সহ ৮৬-৮৭ জনের ঠাঁই হতে পারে।
প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালে তৎকালীন ইউপিএ জমানায় গ্যাংটক থেকে ৩৩ কিলোমিটার দূরে পাকিয়ং গ্রামের কাছে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছিল এই বিমানবন্দরের। তার পর ৯ বছর ধরে নির্মাণের কাজে খরচ হয় প্রায় ৬০০ কোটি টাকা। পাহাড়ের ঢাল কেটে ৯৯০ একর জমির উপর সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৪৫০০ ফুট উঁচুতে এই বিমানবন্দর তৈরি হয়। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উচ্চতার নিরিখে পাকিয়ং ভারতের অন্যতম উঁচু বিমানবন্দর।