Kolkata Medical College

Kolkata Medical College: রোগীর মৃত্যু ঘিরে মেডিক্যালে ভাঙচুর, উত্তেজনা

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চুক্তিভিত্তিক চতুর্থ শ্রেণির কর্মীরা থাকেন নিকটবর্তী ইডেন হসপিটাল রোডে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০২১ ০৬:৪০
Share:

কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভাঙচুরের পরে। রবিবার। নিজস্ব চিত্র।

এক রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে কলকাতার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে উত্তেজনা ছড়াল। রবিবার বিকেল সাড়ে ৩টে নাগাদ এই ঘটনা ঘটে। ওই হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষীদের ঘর ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চুক্তিভিত্তিক চতুর্থ শ্রেণির কর্মীরা থাকেন নিকটবর্তী ইডেন হসপিটাল রোডে। সেখানেই স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী, বছর তিরিশের অমর মল্লিকও থাকতেন। এ দিন তিনি সকালের ডিউটি সেরে বাড়ি ফিরে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে গিয়ে পরিচিতেরা দেখেন, হাসপাতালের পাঁচ নম্বর গেটে তালা দেওয়া রয়েছে। তাঁদের তখন বেশ কিছুটা ঘুরে জরুরি বিভাগের গেট দিয়ে ঢুকতে হয়। কিন্তু হাসপাতালের চিকিৎসকেরা জানান, ততক্ষণে মারা গিয়েছেন অমর।

এর পরেই অমরের পরিচিতেরা অভিযোগ করেন, পাঁচ নম্বর গেটটি তালাবন্ধ ছিল বলেই তাঁদের হাসপাতালে পৌঁছতে অনেকটা ঘুরে আসতে হয়েছে। গেটটি খোলা থাকলে তাঁরা রোগীকে নিয়ে দ্রুত পৌঁছতে পারতেন। চিকিৎসা দ্রুত শুরু করলে হয়তো তাঁকে বাঁচানো যেত।

Advertisement

কেন হাসপাতালের ওই গেটটি বন্ধ রয়েছে, তা নিয়ে এর পরে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে বচসা বাধে অমরের পরিচিতদের। অভিযোগ, দু’পক্ষের হাতাহাতিও শুরু হয়। এমনকি নিরাপত্তারক্ষীদের অফিসঘর ভাঙচুর করা হয় বলেও অভিযোগ। এর পরে বৌবাজার থানায় অভিযোগ করা হলে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ।

অমরের এক পরিচিত জানান, পুর ভোটের দিনকয়েক আগে থেকেই হাসপাতালের পাঁচ নম্বর গেটটি বন্ধ রয়েছে, যা এখনও খোলা হয়নি। কার নির্দেশে ওই গেটটি এখনও বন্ধ রয়েছে, তা বলতে পারেননি নিরাপত্তারক্ষীরা। এ সংক্রান্ত কোনও লিখিত নির্দেশও দেখাতে পারেননি তাঁরা। এই বিষয়ে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার মানব নন্দীকে ফোন ও মেসেজ করা হলেও কোনও উত্তর মেলেনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement