ব্রেথ অ্যানালাইজার দিয়ে পরীক্ষা। নিজস্ব চিত্র
তুলনায় বড় পুজো কম। রাত বাড়লে গাড়ির চাপ কিছুটা হলেও কমে যায়। সেই সুযোগেই উদ্দাম গতিতে মোটরবাইক কিংবা গাড়ি চালিয়ে যায় একদল।
গত কয়েক বছর ধরেই ঘটছে এমন ঘটনা। কোন কোন জায়গায় এমন ঘটনা ঘটেছিল তা চিহ্নিত করে এ বছর কড়া নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ওই সব থানা এলাকা ছাড়াও অন্যান্য রাস্তা এবং উড়ালপুলেও নজরদারি চলেছিল। তার জেরে পুজোর সময়ে মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালানোর অভিযোগে বিমানবন্দর এলাকা, নিউ টাউন, ভিআইপি রোড থেকে ৬১৯ জনকে গ্রেফতার করে বিধাননগর পুলিশ। এ ছাড়াও বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালানো, হেলমেট না পরা-সহ একাধিক ট্র্যাফিক নিয়ম না মানার অভিযোগ রয়েছে।
পুজোর দিনগুলিতে বিধাননগর কমিশনারেট এলাকায় ৪,৬০৪টি গাড়িতে নাকা তল্লাশি হয়েছিল। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী দেখা গিয়েছে, গত বছরের তুলনায় এ বছর মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালানোর ঘটনা বেড়েছে। যা নিয়ে চিন্তিত পুলিশ প্রশাসন। তবে ট্র্যাফিক আইন ভাঙায় কড়া মনোভাব দেখানোয় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়নি বলে দাবি তাদের। যদিও লাগাতার প্রচার এবং কড়া পদক্ষেপ করে এই প্রবণতা কমাতে চাইছে পুলিশ। দর্শনার্থীদের ভিড় এবং গাড়ির চাপ কমতেই গভীর রাত কিংবা ভোরের দিকে বেপরোয়া গতিতে এবং মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালানোর ঘটনা ঘটেছে।
বিভিন্ন থানা এলাকায় এমন ঘটনা ঘটলেও নিউ টাউন, বিমানবন্দর, কৈখালি এলাকায় বেশি ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তথ্য বলছে, গভীর রাত পর্যন্ত ভিআইপি রোডে গাড়ির চাপ থাকায় অনেকেই সল্টলেক, নিউ টাউন, বিমানবন্দরের ফাঁকা রাস্তা ব্যবহার করেছেন। সেই ফাঁকা রাস্তায় তীব্র বেগে গাড়ি চালাতে গিয়ে একাধিক দুর্ঘটনাও ঘটেছে। পুজোর পাঁচ দিনের মধ্যে কৈখালি, নিউ টাউন এবং উল্টোডাঙা উড়ালপুলে তিনটি দুর্ঘটনায় পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং তিন জন আহত হয়েছেন। পুলিশ আধিকারিকেরা জানাচ্ছেন, এই দুর্ঘটনাগুলির নেপথ্যে শুধু বেপরোয়া গাড়ি চালানোই নয়, মত্ত চালকের নিয়ন্ত্রণহীনতাও রয়েছে। উল্টোডাঙা এবং কৈখালির কাছে দু’টি দুর্ঘটনায় দু’জন বাইকচালক এবং দু’জন আরোহীর মৃত্যু হয়েছে।
আসন্ন দীপাবলির কথা মাথায় রেখে দুর্গাপুজোর দিনগুলিতে কমিশনারেট এলাকায় যে সব পথ দুর্ঘটনা ঘটেছে খতিয়ে দেখবে পুলিশ। তাদের দাবি, মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালানোয় রাশ টানতে সচেতনতার প্রচার ছাড়াও কড়া পদক্ষেপের রূপরেখা তৈরির কথা ভাবছে প্রশাসন।