যন্ত্র দিয়ে মলদ্বারে হাওয়া, মৃত কিশোর

কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০১:০৪
Share:

—ফাইল চিত্র।

ভ্রান্ত ধারণার জেরে মৃত্যু হল এক কিশোরের। হাওয়া দিলে সাইকেলের চাকা, ফুটবল ফুলে ওঠে। ফলে এক জন মানুষের শরীরেও হাওয়া দিলে তিনিও ফুলে উঠবেন। তাই ভেবে খেলার ছলে এক কিশোরের মলদ্বারে যন্ত্রের মাধ্যমে হাওয়া ভরে দিল তার দুই সঙ্গী। ঘটনার জেরে পেট ফুলে মৃত্যু হল দেগঙ্গার বাসিন্দা ওই কিশোরের। নাবালক ওই তিন কিশোর একটি সেলাই কারখানায় কাজ করত। কী করে তাদের দিয়ে ওই কারখানায় কাজ করানো হচ্ছিল তা নিয়ে ঘটনার পরে প্রশ্ন উঠেছে।

Advertisement

পুলিশ জানায়, মৃত কিশোরের নাম রায়হানউদ্দিন (১৪)। সে দেগঙ্গার নুরনগরের ফাজিলপুরের বাসিন্দা। কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের ছোট ছেলে রায়হান পাড়ারই বাসিন্দা দুই কিশোরের সঙ্গে কদম্বগাছির একটি সেলাই কারখানায় কাজ করত। তদন্তকারীরা জানান, বুধবার দুপুরে কারখানার পেপার পাম্প পাইপ নিয়ে খেলার ছলে রায়হানের মলদ্বারে ঢুকিয়ে দেয় অন্য এক কিশোর। কাপড়ের উপর নকশা বোনার কাজের ওই যন্ত্রের শক্তিশালী হাওয়া রায়হানের মলদ্বার দিয়ে শরীরে ঢুকে তার পেট ফুলিয়ে দেয়। কারখানার কর্তৃপক্ষ রায়হানকে কদম্বগাছির একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন। তবে তার শারীরিক অবস্থার অবনতির কারণে রায়হানকে কলকাতার সল্টলেকের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। সেখানেই গভীর রাতে মারা যায় ওই কিশোর।

বৃহস্পতিবার রায়হানের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, ছেলের শোকে বারবার জ্ঞান হারাচ্ছেন মা মারুফা বিবি। তিনি বলেন, “কেন ওরা হাওয়া দেওয়ার যন্ত্র নিয়ে খেলা করছিল কে জানে? কী করে ওরা এমন একটা কাজ করল?’’

Advertisement

রায়হানের দুই সঙ্গী মোস্তাকিন ও তরিকুল ঘটনার পরে কারখানা ছেড়ে বাড়ি চলে যায়। তবে তার পর থেকে তাদের আর কোনও খোঁজ মেলেনি বলে জানিয়েছে পুলিশ। নাবালকদের দিয়ে কেন কারখানায় কাজ করানো হচ্ছিল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement