ফাইল চিত্র।
আধুনিক পরিকাঠামো তৈরি হয়েছে। তবু সমন্বয়ের অভাবে সমস্যা মিটছিল না। ফলে কাঠগড়ায় উঠতে হচ্ছিল পূর্ব রেলের বি আর সিংহ হাসপাতালকে। সেই সমস্যা মেটাতে তাই ‘হসপিটাল ইনফর্মেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ (এইচ আই এম এস) চালু করতে চলেছেন রেল কর্তৃপক্ষ। আড়াই কোটি টাকা খরচে প্রযুক্তি নির্ভর ওই পরিকাঠামো তৈরি হচ্ছে শিয়ালদহের বি আর সিংহ এবং হাওড়ার অর্থোপেডিক হাসপাতালে।
রেলের নিজস্ব তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা রেলটেল ওই ব্যবস্থাপনা তৈরি করছে। গোটা পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে রোগীর চিকিৎসা সম্পর্কিত তথ্য হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে আদানপ্রদান অনেক সহজ হবে বলে দাবি রেলের কর্তাদের। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী মাস তিনকের মধ্যে ওই ব্যবস্থা চালু হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
করোনা পর্বে শিয়ালদহের বি আর সিংহ এবং হাওড়া অর্থোপেডিক হাসপাতালকে অত্যধিক রোগীর চাপ সামলাতে হয়েছে। তখন দেখা গিয়েছে, আধুনিক পরিকাঠামো সত্ত্বেও বার বার দুই হাসপাতালের চিকিৎসায় সমন্বয়ের অভাব নিয়ে অভিযোগের আঙুল উঠেছে। রেলের কর্মী সংগঠনও এ নিয়ে সরব হয়েছে। গুরুতর অসুস্থ কোভিড রোগীদের চিকিৎসায় পরে বি আর সিংহ হাসপাতালে অক্সিজেন প্লান্ট বসানো হয়েছে, দ্রুত রোগ নির্ণয়ে পরীক্ষানিরীক্ষার পরিকাঠামোও বাড়ানো হয়েছে সেখানে। সেই সঙ্গে হাওড়া অর্থোপেডিক হাসপাতালেও পরিকাঠামোর মানোন্নয়ন ঘটেছে। তবু কিন্তু সমন্বয়ের ঘাটতি মিটছিল না।
গত বছরই পূর্ব রেলের এই দুই হাসপাতালে এইচ আই এম এস গড়ে তুলতে আড়াই কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। কিন্তু কোনও কাজ এগোয়নি। সম্প্রতি রেলটেল বিস্তারিত সমীক্ষা করে হাসপাতালের সব বিভাগ এবং তাদের নিজস্ব ওষুধের স্টোরকে ওই ব্যবস্থাপনার
আওতায় আনে। রেলের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘রোগী কী উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালের কোন বিভাগে ভর্তি হচ্ছেন, যাবতীয় সেই সব তথ্য এ বার থেকে মিলবে মাউসের ক্লিকে। ফলে রোগীর আত্মীয়কে বিভিন্ন বিভাগে ছুটে বেরিয়ে হয়রানি পোহাতে হবে না।’’
পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী বলছেন, ‘‘পূর্ব রেলের অন্যান্য প্রধান হাসপাতালেও ধাপে ধাপে ওই প্রযুক্তি নির্ভর সমন্বয় ব্যবস্থা গড়ে উঠবে। নতুন ব্যবস্থা রোগীর পরিজনের হয়রানি তো কমাবেই। পাশাপাশি হাসপাতালের ওষুধপত্র এবং যন্ত্রাংশের অপব্যবহার রুখতেও কাজে আসবে।’’