মেট্রোয় দরজার সমস্যা চলছেই

মেট্রো সূত্রের খবর, এ দিন সকাল ৯টা ৫৪ মিনিট নাগাদ কবি সুভাষ স্টেশন থেকে দমদমগামী এসি-৯ মেট্রোটি ছাড়ার সময়ে গার্ডের কেবিন লাগোয়া দরজা বন্ধ হতে সমস্যা হচ্ছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০১৯ ০২:৩৯
Share:

ফাইল চিত্র।

সময়সূচি মেনে না চলা, ঘোষণা না করায় বিক্ষোভ বা স্মার্টগেট নিয়ে সমস্যা, সাম্প্রতিক কালে এ সবই কলকাতা মেট্রোর সঙ্গে জুড়ে গিয়েছে। এ বার মেট্রো বিভ্রাটের পরিচিত কারণগুলির তালিকায় ঢুকে পড়েছে এসি রেকের দরজা বন্ধ না হওয়ার সমস্যাও। গত সপ্তাহে দমদম স্টেশনের পরে বুধবার সকালে যা ফের দেখা গেল কবি সুভাষ স্টেশনে। ফলে ব্যস্ত সময়ে ট্রেন খালি করতে হয় কর্তৃপক্ষকে।

Advertisement

মেট্রো সূত্রের খবর, এ দিন সকাল ৯টা ৫৪ মিনিট নাগাদ কবি সুভাষ স্টেশন থেকে দমদমগামী এসি-৯ মেট্রোটি ছাড়ার সময়ে গার্ডের কেবিন লাগোয়া দরজা বন্ধ হতে সমস্যা হচ্ছিল। বারবার চেষ্টা করেও দরজা বন্ধ না হওয়ায় ঝুঁকি নেননি মেট্রো কর্তৃপক্ষ। দ্রুত যাত্রীদের নামিয়ে খালি ট্রেনের বিকল দরজার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন আধিকারিকেরা। এর পরেই রেকটিকে সামনের দিকে রওনা করিয়ে টালিগঞ্জ মেট্রো স্টেশনের তিন নম্বর প্ল্যাটফর্মে রাখা হয়। কবি সুভাষ স্টেশনের আপ প্ল্যাটফর্ম থেকে রেকটি সরে যেতেই কিছু ক্ষণ পর পর ট্রেন চালিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়েছে বলে দাবি কর্তৃপক্ষের।

দুপুরের দিকে বিকল রেকটিকে টালিগঞ্জ থেকে নোয়াপাড়া নিয়ে গিয়ে প্রয়োজনীয় মেরামতি শুরু হয়। ব্যস্ত সময়ে দমদমগামী মেট্রোর আপ লাইন যাতে আটকে না থাকে, তা নিশ্চিত করতেই ওই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে দাবি কর্তৃপক্ষের। এ দিনের ঘটনায় কবি সুভাষ স্টেশনে মিনিট দশেকের জন্য মেট্রো চলাচল ব্যাহত হয়।

Advertisement

তবে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে ফের এসি মেট্রোয় দরজা বন্ধ হওয়ার সমস্যা দেখা দেওয়ায় রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে আবারও প্রশ্ন উঠছে। মেট্রো কর্তৃপক্ষের অবশ্য দাবি, প্রবল ভিড়ের চাপেই এসি রেকের দরজা নিয়ে সমস্যা দেখা দিচ্ছে। প্রায়ই কামরার ভিড়ের চাপ দরজায় এসে আছড়ে পড়ছে, তার জেরেই বাড়ছে বিপত্তি। যে ভাবে এ দিন তড়িঘড়ি ট্রেন খালি করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়েছে, তা গত সপ্তাহে দমদমের ঘটনায় কেন করা গেল না, সে প্রশ্নও তুলে দিয়েছে।

মেট্রো কর্তৃপক্ষের যুক্তি, কবি সুভাষ স্টেশনের তুলনায় দমদম স্টেশনের ডাউন প্ল্যাটফর্মে শহরতলি থেকে
আসা যাত্রীদের ভিড় অনেক বেশি থাকে। দিনে প্রায় এক লক্ষ যাত্রী শুধু ওই স্টেশন দিয়েই যাতায়াত
করেন। এক মেট্রো কর্তা জানান, ব্যস্ত সময়ে খালি মেট্রো থামার কিছু
ক্ষণের মধ্যেই তা ভরে যায়। ওই দিন দমদমের প্ল্যাটফর্মে যাত্রীদের যা ভিড় ছিল, তাতে ট্রেন খালি করতে গেলে পদপিষ্ট হয়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। এ দিন কবি সুভাষ স্টেশনে তুলনায় ভিড় কম থাকায় দ্রুত ট্রেন খালি
করা গিয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement