তাঁদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করে বেনামি চিঠি যাচ্ছে বিভিন্ন সরকারি দফতরে। এমনকি, সেই চিঠিগুলির কোনওটিতে দেশদ্রোহিতার মতো মারাত্মক অভিযোগও আনা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত এর বিরুদ্ধে পুলিশের দ্বারস্থ হলেন দ্য খিদিরপুর অ্যাকাডেমি স্কুলের শিক্ষকেরা। মঙ্গলবার ওয়াটগঞ্জ থানায় স্মারকলিপি জমা দিয়ে ওই শিক্ষকেরা দাবি করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কে বা কারা এমন চিঠি লিখছে তা খুঁজে বার করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হোক। ওয়াটগঞ্জ থানার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, তদন্ত শুরু হয়েছে।
প্রধান শিক্ষক শ্রীরূপ গোপাল গোস্বামী জানিয়েছেন, ওই স্কুলে মোট শিক্ষকের সংখ্যা ১৫। তাঁদের মধ্যে ১৩ জনের বিরুদ্ধেই ২০১৬ সাল থেকে একাধিক বেনামি চিঠি বিভিন্ন সরকারি দফতরে জমা পড়েছে। চিঠি গিয়েছে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ, স্কুলশিক্ষা দফতর এমনকি নবান্নেও। প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধেও অভিযোগ এনে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি ওই স্কুলের বাংলার এক শিক্ষককে জঙ্গি তকমা দিয়ে চিঠি যায় কলকাতা পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চে। তাঁর বিরুদ্ধে দেশবিরোধী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ আনা হয় চিঠিতে। এ কথা জানাজানি হওয়ার পরেই পুলিশে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন ওই শিক্ষকেরা।
প্রধান শিক্ষক শ্রীরূপবাবু বলেন, ‘‘এই ধরনের চিঠি পেয়ে সরকারি দফতরের আধিকারিকেরা শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলতে এসেছিলেন। এটা আমাদের পক্ষে সম্মানহানিকর।’’ স্কুলে বাংলার ওই শিক্ষকও এ দিন বলেন, ‘‘কয়েক জন মানসিক ভাবে খুবই ভেঙে পড়েছেন। আমাদের এক জনের নামে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। আমাকে জঙ্গি বলা হয়েছে। এটা কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। কারা এই চিঠি লিখছে, এর তদন্ত হওয়া দরকার।’’ ওই শিক্ষক আরও জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর দফতর-সহ শিক্ষা দফতরেও গোটা বিষয়টি চিঠি লিখে জানাতে চলেছেন তাঁরা।