অনলাইনে পরীক্ষার আবেদন খারজিজ করেছে শীর্ষ আদালত। প্রতীকী ছবি
অনলাইন পরীক্ষার আবেদন সুপ্রিম কোর্ট খারিজ করায় খুশি শিক্ষক এবং অধিকাংশ অভিভাবক। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি জানিয়েছে, অফলাইন পরীক্ষার জন্য যখন তারা তৈরি হচ্ছিল, তখন সুপ্রিম কোর্টে অনলাইনে পরীক্ষার আবেদন জমা পড়ায় সব স্তরেই বিভ্রান্তি ছড়াতে পারত। কিন্তু সর্বোচ্চ আদালত অনলাইন পরীক্ষার আবেদন খারিজ করায় আর সেই বিভ্রান্তির অবকাশ থাকল না।
স্কুল খুলে গিয়েছে প্রাথমিক স্তরেও। নবম থেকে দ্বাদশের বেশির ভাগ পড়ুয়ার করোনার প্রতিষেধক নেওয়া হয়ে গিয়েছে। তবুও সুপ্রিম কোর্টে ফের সিবিএসই, আইসিএসই এবং রাজ্য বোর্ডের দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা অনলাইনে নেওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন অভিভাবকদের একাংশ। বুধবার সেই আবেদন খারিজ করে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, প্রতিষ্ঠানগুলি নিজেদের কাজ করছে। এই আবেদন শোনার কোনও কারণ নেই।
অধিকাংশ পড়ুয়া এবং অভিভাবক চান, বোর্ডের পরীক্ষা হোক অফলাইনে। তবে এখনও অভিভাবকদের একাংশ দাবি করছিলেন, পরীক্ষা হোক অনলাইনে বা মূল্যায়নের অন্য কোনও পদ্ধতি মেনে। তাঁদের যুক্তি, সারা বছর পড়ুয়ারা অনলাইনে পড়াশোনা করেছে। তাই অফলাইনে বোর্ডের পরীক্ষায় বসতে গেলে মানসিক চাপে পড়বে তারা।
তবে শিক্ষকদের একাংশের মত, মানসিক চাপের কোনও কারণ নেই। প্রি-বোর্ডের সব পরীক্ষা অফলাইনেই হচ্ছে। সাউথ পয়েন্ট কর্তৃপক্ষের প্রশ্ন, ‘‘আমাদের ষষ্ঠ শ্রেণির পরীক্ষা অফলাইনে হচ্ছে। সেখানে বোর্ডের পরীক্ষা কেন অনলাইনে হবে?’’ তা ছাড়া সিআইএসসিই এবং সিবিএসই দুই বোর্ডই আগে জানিয়ে দিয়েছে, তাদের দ্বিতীয় সিমেস্টার অফলাইনেই হবে। পরীক্ষা শুরু হবে এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে।
মডার্ন হাইস্কুল ফর গার্লসের ডিরেক্টর দেবী করের মতে, “যখন স্কুল খুলে গিয়েছে, তখন আর অনলাইন পরীক্ষা কেন নেওয়া হবে? অনলাইনের থেকে অফলাইন পরীক্ষা সব সময়েই ভাল।” ক্যালকাটা গার্লসের দ্বাদশ শ্রেণির এক পড়ুয়ার অভিভাবক পিয়ালী রায়ের মত, “গত বার বোর্ডের পরীক্ষা না হওয়ায় বিশেষ পদ্ধতিতে মূল্যায়ন হয়েছিল। সেই মূল্যায়নে অনেকেই সন্তুষ্ট হতে পারেনি। এ বার যখন করোনা পরিস্থিতি ভালর দিকে, তখন কেন অন্য পদ্ধতিতে মূল্যায়ন হবে? আমরা অফলাইনেই পরীক্ষা চাই। সুপ্রিম কোর্ট অনলাইন পরীক্ষার আবেদন খারিজ করায় তাই খুশি।”