প্রতীকী ছবি।
করোনার জেরে লকডাউন শুরু হওয়ার পরে চলে গিয়েছিল কাজ। দেখা দেয় প্রবল আর্থিক অনটন। আর সেই অনটন দূর করতেই সে শুরু করেছিল ট্যাক্সি চুরি। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। কালীঘাট থানার পুলিশের হাতে ধরা পড়ে গেল অভিযুক্ত ট্যাক্সি চোর। গ্রেফতারের পরে জানা গেল, ধৃত যুবক নিজেও এক সময়ে ট্যাক্সি চালাত।
পুলিশ সূত্রের খবর, দিন কয়েক আগে হরিশ মুখার্জি রোড থেকে একটি ট্যাক্সি চুরি যায়। ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে কালীঘাট থানার পুলিশ জানতে পারে, ওই এলাকার যৌনপল্লিতে যাতায়াত রয়েছে অভিযুক্ত ট্যাক্সি চোরের। আর সেই সূত্র ধরেই দিন দুই আগে কালীঘাটের যৌনপল্লির একটি ঘর থেকে শেখ ফিরোজ ওরফে ভোলা নামে ওই যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গ্রেফতারের পরে ফিরোজ জানায়, তার বাড়ি বর্ধমানে। তবে গত কয়েক বছর ধরে সে কলকাতায় ট্যাক্সি চালাচ্ছিল। কিন্তু গত মার্চ মাসের শেষ দিকে করোনার জেরে লকডাউন শুরু হতেই গাড়ি চালানো বন্ধ হয়ে যায়। লকডাউন উঠে গেলেও আর কাজ পায়নি সে। শেষে ট্যাক্সি চুরি করতে শুরু করে সে। এমনই একটি ট্যাক্সি চুরি করার পরে দ্বিতীয় হুগলি সেতু ধরে হাওড়ায় পৌঁছে সেখানকার একটি নির্জন জায়গায় গাড়িটি রেখে এসেছিল সে।
পরে কালীঘাটের যৌনপল্লিতে আসে ফিরোজ। সেখানেই কয়েক জনকে চোরাই ট্যাক্সি বিক্রির চেষ্টা করে সে। এরই মধ্যে পুলিশ সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও স্থানীয় ‘সোর্স’ মারফত ট্যাক্সি চোরের খোঁজ শুরু করে। শেষে ফিরোজের সন্ধান পাওয়া যায়। পুলিশ জানতে পারে, যৌনপল্লিতে আসা এক যুবক ট্যাক্সি কেনার জন্য ক্রেতা খুঁজছে। সেই সূত্র ধরেই ফিরোজকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ফিরোজ এর আগে ক’টা ট্যাক্সি চুরি করেছে, তাকে জেরার মাধ্যমে তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।