—ফাইল ছবি
নদীর নীচ দিয়ে ট্রেন চালানোর থেকেও আপাতত শিয়ালদহ পর্যন্ত ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো পরিষেবার সম্প্রসারণকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন কর্তৃপক্ষ। বুধবার ফুলবাগান স্টেশন পরিদর্শনে গিয়ে এ কথা জানিয়েছেন কলকাতা মেট্রোর জেনারেল ম্যানেজার মনোজ জোশী। ওই পথে পরিকাঠামো প্রায় তৈরি বলে মেট্রো সূত্রের খবর।
পাঁচ নম্বর সেক্টর থেকে সল্টলেক স্টেডিয়াম পর্যন্ত যাত্রী-পরিষেবা চালু হয়েছে এ মাসেই। ওই পরিষেবা ফুলবাগান পর্যন্ত সম্প্রসারিত করার প্রস্তুতিও প্রায় সারা। রেলওয়ে সেফটি কমিশনারের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র পাওয়ার প্রক্রিয়াও মেট্রোর তরফে শুরু হয়েছে। দিন পনেরোর মধ্যে যাবতীয় ব্যবস্থাপনা খতিয়ে দেখতে ফুলবাগান স্টেশন পরিদর্শন করতে পারেন মেট্রো রেলের সেফটি কমিশনার।
ফুলবাগানের পরে শিয়ালদহ স্টেশনের কাজও অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছে। তবে বৌবাজারে সুড়ঙ্গ বিপর্যয়ের জেরে ওই কাজ সম্পূর্ণ করা নিয়ে কিছু অসুবিধা রয়েছে। এসপ্লানেড থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত মেট্রোর সুড়ঙ্গ নির্মাণের কাজ মিটলে তবেই ওই স্টেশন নির্মাণের কাজ পুরোপুরি শেষ করা যাবে। এই অবস্থায় শিয়ালদহ পর্যন্ত মেট্রো চলাচল কবে শুরু করা যাবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
পাশাপাশি, হাওড়া থেকে এসপ্লানেডের মধ্যে স্টেশনগুলির নির্মাণকাজও অনেক দূর এগিয়েছে। ওই পথে এখন ট্র্যাক পাতার কাজ চলছে। তবে তড়িঘড়ি সেখানে মেট্রো চালানোর থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত পরিষেবা সম্প্রসারণকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন মেট্রোর নয়া জিএম। সে জন্য প্রয়োজনে শিয়ালদহ স্টেশনের কিছু অংশকে ব্যারিকেড করে আলাদা করে দেওয়া হতে পারে। শিয়ালদহ পর্যন্ত পরিষেবা সম্প্রসারিত হলে উল্লেখযোগ্য হারে যাত্রী বাড়তে পারে বলেও মত মেট্রোকর্তাদের একাংশের। সে ক্ষেত্রে এসপ্লানেড থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত সুড়ঙ্গের কাজ যাতে পরিষেবা চালু করার ক্ষেত্রে অন্তরায় হয়ে না দাঁড়ায়, তা দেখা হবে।
এ দিন সকাল ১০টা নাগাদ মেট্রো রেলের জিএম ফুলবাগান স্টেশনে পৌঁছন। প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে যাবতীয় ব্যবস্থাপনা খুঁটিয়ে পরীক্ষা করেন তিনি। কন্ট্রোল রুম, স্টেশন মাস্টারের ঘর ছাড়াও যাত্রীদের ঢোকা এবং বেরোনোর পথ— সবই খুঁটিয়ে দেখেন।
পরিদর্শনের পরে জিএম জানান, রেলওয়ে সেফটি কমিশনার কিছু আনুষঙ্গিক তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছেন। মেট্রোর তরফে তা পাঠানো হচ্ছে। যাবতীয় শর্ত পূরণ হলে মে মাসের মাঝমাঝি তাঁরা পরিষেবা চালু করার চেষ্টা করবেন।