—ফাইল ছবি
টালা সেতুর বিকল্প হিসেবে কোন রাস্তা দিয়ে কোন রুটের বাস যাবে, তা নিয়ে বৈঠক করল কলকাতা পুলিশ ও বাসমালিক সংগঠনগুলি। বৃহস্পতিবার লালবাজারে ডিসি (ট্র্যাফিক) রূপেশ কুমারের সঙ্গে বৈঠক হয় চারটি সংগঠনের।
পুলিশের দাবি, বিকল্প রুট নিয়ে বাসমালিকদের আপত্তি নেই। আজ, শুক্রবার মাঝরাত থেকেই টালা সেতু পুরোপুরি বন্ধ হচ্ছে। ওই সেতু ভেঙে নতুন সেতু তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য।
পুজোর আগে বেহাল টালা সেতুতে ভারী গাড়ি চলাচল বন্ধ হওয়ার পরে বিকল্প রুটে বাস চালানো নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন বাসমালিকেরা। কয়েকটি রুটের বাস আচমকা বন্ধ হয়েছিল। এ বার যাতে সেই সমস্যা না-হয় তা নিশ্চিত করতেই বৈঠক ডেকেছিল লালবাজার। পুলিশ জানিয়েছে, টালা সেতু বন্ধ হওয়ার পরে কাল, শনিবার থেকে বি টি রোডমুখী বাস চিৎপুর লকগেট উড়ালপুল হয়ে যাবে। কয়েকটি রুটের বাস অবশ্য কাশীপুর সেতু দিয়ে যাবে। বি টি রোড থেকে শ্যামবাজার ও চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউমুখী বাস চিড়িয়ামোড় বা পাইকপাড়া থেকে বেলগাছিয়া হয়ে শ্যামবাজার মোড় পৌঁছবে।
বাসমালিক সংগঠন সূত্রের খবর, তারা বাগবাজার সংলগ্ন এলাকায় রাস্তার উপরে থাকা চারটি রুটের বাস টার্মিনাসকে গ্যালিফ স্ট্রিটে সরানোর পরামর্শ দিয়েছে। বেলগাছিয়া সেতুতে ছোট গাড়ির ভিড় কমাতে বিকল্প ভাবার কথা বলেছেন বাসমালিকেরা। পুলিশ বাসমালিকদের সরকারি ভলভো বাসের ধাঁচে বড় আকারের লুকিং গ্লাস বসানোর পরামর্শ দিয়েছে। ছোট আয়নায় দেখতে সমস্যা হওয়ায় দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানিয়েছে, ছোট গাড়ির অনেকটাই কাশীপুর এলাকা দিয়ে কাশীপুর সেতু হয়ে বাগবাজার পৌঁছবে। তাই কাশীপুরের রাস্তা এ দিন ফের পরিদর্শন করেন যুগ্ম কমিশনার (ট্র্যাফিক) সন্তোষ পাণ্ডে এবং ডিসি (ট্র্যাফিক) রূপেশ কুমার। পুলিশ সূত্রের খবর, কাশীপুর রোড, চিৎপুর রোড, খগেন চ্যাটার্জি রোডে গাড়ি পার্কিং নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ওই এলাকায় সিগন্যাল নিয়ন্ত্রিত করতে বলা হয়েছে এবং সিসিটিভি ক্যামেরার সংখ্যা বাড়াতে বলা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিনের বৈঠকে টালার বাইরে পথেঘাটে পুলিশের ‘কড়াকড়ি’ নিয়ে আপত্তি জানান বাসমালিকেরা। তাঁদের বক্তব্য, পুলিশ জোর করে জরিমানা করছে। পুলিশকর্তারা, বাস মালিকদের নির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে তা সবিস্তারে জানাতে বলেছেন। জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেটের নেতা তপন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ওয়েস্ট বেঙ্গল বাস-মিনিবাস অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতা প্রদীপনারায়ণ বসু দুর্ঘটনা এড়াতে এবং রাস্তায় বাসের গতি বাড়াতে আন্ডারপাস এবং ফুট ওভারব্রিজের সংখ্যা বৃদ্ধির পরামর্শও দিয়েছেন পুলিশকে।