—ফাইল চিত্র
আগামী সোমবার নয়। ছটপুজোর আগে, বৃহস্পতিবারই রবীন্দ্র সরোবরে ওই পুজোর অনুমতি নিয়ে শুনানি হতে চলেছে। তাই এ বছর সরোবরে ছটপুজোর অনুমতি দেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তৈরি হল।
মঙ্গলবার কেএমডিএ-র আর্জি মেনে নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, ১৯ নভেম্বর, বৃহস্পতিবারই শুনানি হতে পারে। এ বছর ছটপুজো আগামী শুক্র ও শনিবার।
রবীন্দ্র সরোবরে ছটপুজো করার উপরে জাতীয় পরিবেশ আদালতের নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে কেএমডিএ সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। গত ২ নভেম্বর বিচারপতি রোহিংটন নরিম্যানের বেঞ্চ সব পক্ষের বক্তব্য জানতে চেয়ে নোটিস জারি করে। কিন্তু বিচারপতি নরিম্যান এক সপ্তাহের জন্য সুপ্রিম কোর্টে না থাকায় সোমবার বিচারপতি উদয় উমেশ ললিতের বেঞ্চ জানিয়েছিল, বিচারপতি নরিম্যান ফিরলে আগামী সোমবারই শুনানি হবে। কিন্তু তত দিনে ছটপুজো পেরিয়ে যাবে। এর পরেই কেএমডিএ-র তরফে ঠিক করা হয়, ছটপুজোর আগে মামলাটির শুনানি চেয়ে মঙ্গলবার ফের আবেদন করা হবে।
সেই মতো এ দিন সকালে কেএমডিএ-র আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদী ও কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বিচারপতি ললিতের কাছে অনুরোধ করেন, ছটপুজোর আগেই যেন শুনানি হয়। প্রথম শুনানির সময়ে
বিচারপতি নরিম্যানের বেঞ্চের সদস্য বিচারপতি নবীন সিংহের বেঞ্চে এখন শুনানি চলছে। কাজেই তিনিই মামলা শুনতে পারেন বলেও তাঁরা যুক্তি দেন। এই আর্জি শুনে বিচারপতি ললিত জানান, বৃহস্পতিবার যথাযথ বেঞ্চে শুনানি হবে। কেএমডিএ-র আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদী এ দিন বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবার কোন বেঞ্চে শুনানি হবে, তা পরে জানা যাবে।’’
কিন্তু কেএমডিএ কেন পরিবেশের কথা ভাবছে না? সংস্থার আর এক আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের যুক্তি, ‘‘জাতীয় পরিবেশ আদালত আইনের বিরুদ্ধে গিয়ে ছটপুজোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। সেই কারণেই আমরা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছি। আইন অনুযায়ী, পরিবেশের উপরে প্রভাব খতিয়ে দেখার দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিটির সংশ্লিষ্ট সকলের কথা শোনা উচিত। কমিটি কেএমডিএ-র কথাই শোনেনি। তা ছাড়া, আমরা বলছি, পুজোর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সব পরিষ্কার করে দেওয়া হবে।’’ তৃণমূল সাংসদ কল্যাণবাবুর আরও প্রশ্ন, ‘‘যাঁরা এসি ঘরে বসে পরিবেশ নিয়ে মামলা করছেন, তাঁরা কি রবীন্দ্র সরোবর পরিষ্কার করতে আসেন? আমি তো সকালে লেকে হাঁটতে গিয়ে নোংরা দেখলে পরিষ্কার করানোর দায়িত্ব নিই। মামলাকারীরা কত বার সরোবর পরিষ্কার করতে এসেছেন?’’