Chhath Festival

রায় নিয়ে ধন্দ, তাই ছটের প্রস্তুতি ৪৪টি ঘাটে

রবীন্দ্র সরোবরে ছটপুজো না করতে ইতিমধ্যেই নির্দেশ দিয়েছে পরিবেশ আদালত। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার পরিকল্পনা করলেও চূড়ান্ত রায় কী হবে, তা নিয়ে ধন্দ

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০২০ ০৩:১৭
Share:

ফাইল চিত্র।

রবীন্দ্র সরোবরে ছটপুজো না করতে ইতিমধ্যেই নির্দেশ দিয়েছে পরিবেশ আদালত। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার পরিকল্পনা করলেও চূড়ান্ত রায় কী হবে, তা নিয়ে ধন্দ রয়ে গিয়েছে। তাই ওই সরোবর সংলগ্ন বিস্তীর্ণ এলাকায় ছটপুজোর বিকল্প ব্যবস্থা তৈরি রাখতে কর্তৃপক্ষ বুধবার এক আলোচনায় ১২ জন কোঅর্ডিনেটরের কাছে আবেদন করেন।

Advertisement

এ দিনের আলোচনায় ছিলেন এ শহরে বহুদিন ধরেই ছটপুজো করে এমন রাষ্ট্রীয় বিহারি সমাজের প্রতিনিধিরা। বৈঠক শেষে কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, সরোবর এলাকার আশপাশে ৪৪টি ঘাটে ছটপুজো করা হবে। কিছু ঘাট তৈরি রয়েছেই। আরও কিছু জলাশয়ের ধারে অস্থায়ী ঘাট তৈরি করা হতে পারে। পুণ্যার্থীরা স্বাস্থ্য-বিধি মেনেই সেখানে পুজো দেবেন। পুজোর শেষে জলাশয়গুলি পরিষ্কার করা হবে। ঘাটগুলি তৈরি অথবা সংস্কারের কাজে কোঅর্ডিনেটরদের দায়িত্ব নিতে বলা হয়েছে। পুণ্যার্থীদের অসুবিধা যাতে না হয়, সে জন্য আলোর ব্যবস্থা, জলাশয় সংক্রান্ত নির্দেশিকা ও পরিবেশ সম্বন্ধে মানুষকে সচেতন করা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

তবে কি রবীন্দ্র সরোবরে ছটপুজো বন্ধ করতে আদালতের নির্দেশের পরে এই বিকল্প ব্যবস্থার সিদ্ধান্ত? কেএমডিএ-র সিইও অন্তরা আচার্য বলেন, “রবীন্দ্র সরোবরের ছটপুজো নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না। সরোবর সংলগ্ন বিস্তীর্ণ এলাকায় যাতে অনেক পুণ্যার্থী স্বাস্থ্য-বিধি মেনে পুজোয় অংশ নিতে পারেন সে জন্যই কর্তৃপক্ষ কোঅর্ডিনেটরদের সঙ্গে আলোচনা সেরেছেন।”

Advertisement

আরও পড়ুন:সাঁতরাগাছি ঝিল সংস্কারে আরও ছ’মাস দিল আদালত

অন্য দিকে, রাষ্ট্রীয় বিহারি সমাজের সভাপতি মণিপ্রসাদ সিংহ বলেন, “বহুদিন ধরেই রবীন্দ্র সরোবরে ছটপুজো হচ্ছে। দক্ষিণ কলকাতার পুণ্যার্থীদের একটি বড় অংশ এখানেই পুজো করতে চান। আমরা সেই আবেদন নিয়েই সুপ্রিম কোর্টে যাব। যদি সেখান থেকেও অনুমতি না মেলে, তা হলে বিকল্প হিসেবে অন্যত্র করতে হবে।”

আরও পড়ুন:কেনাকাটার ভিড়ে বড় বিপদের আশঙ্কা পুজোর আগেই

কলকাতা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, “ভাবাবেগ ও আদালতের রায় বিবেচনা করেই ছটপুজো করা উচিত। কেএমডিএ যে বিকল্প ব্যবস্থার পরিকল্পনা করেছে, তা পুর প্রতিনিধি হিসেবে স্বাগত জানাচ্ছি।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement