এসএসকেএম হাসপাতালে সফল ভাবে হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপন হল। গ্রাফিক: দেবজ্যোতি মুখোপাধ্যায়।
এসএসকেএম হাসপাতালে সফল ভাবে হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপন হবে কি না, সকাল থেকেই একটা উৎকণ্ঠা ছিল। তবে হতাশ হননি চিকিৎসকেরা। তাঁরা সফল ভাবেই অস্ত্রোপচার করলেন এবং সেই সঙ্গে হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপনে নজিরও গড়ে ফেলল এসএসকেএম।
নদিয়ার তেহট্টের মৃন্ময় বিশ্বাস অঙ্গদাতা অঞ্জনা ভৌমিকের হৃদযন্ত্র পেলেন। একই সঙ্গে মৃন্ময়ের স্বপ্নও নতুন করে যেন বেঁচে উঠল! মৃন্ময়ের ইচ্ছে ডব্লিউবিসিএস হওয়ার। মেধাবী ওই ছাত্রের ইচ্ছে হার্টের সমস্যায় মরতে বসেছিল। আচমকাই যেন জগৎটা বদলে গিয়েছে তাঁর। অঞ্জনার হার্ট পেয়ে নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখছেন বছর তিরিশের ওই যুবক।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, মৃন্ময়ের অস্ত্রোপচারের সফল হয়েছে। এখন গ্রহীতাকে লাইফ সাপোর্ট সিস্টেমে রাখা হয়েছে। তবে ৭২ ঘণ্টা না গেলে, বিপম্মুক্ত বলা যাবে না।
আরও পড়ুন: দু’দশক পর কংগ্রেসের রাশ যাচ্ছে গাঁধী পরিবারের বাইরে, রাহুলের উত্তরসূরির দৌড়ে শিন্ডে-খড়্গে
আরও পড়ুন: ‘বাংলা’ নয়, ‘পশ্চিমবঙ্গ’ই ভাল: অধীর-বাবুল একসুর, তৃণমূল এখনও নীরব
অঞ্জনার ব্রেন ডেথ হওয়ার পর তাঁর অঙ্গদানে সম্মতি দেয় পরিবার। তার পরেই শুরু হয় অঙ্গদানের উদ্যোগ। জোকার বাসিন্দা অঞ্জনার যকৃৎ, দু’টি কিডনি, ত্বক ও কর্নিয়াও দান করা হয়। এসএসকেএমেই তাঁর ত্বক দান করা হয়েছে। বুধবার সকালে হাওড়ার আন্দুল থেকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে মাত্র ১২ মিনিটে গ্রিন করিডর করে আনা হয় হৃদযন্ত্র এবং কিডনি। এসএসকেএম হাসপাতাল এবং আন্দুলের ওই বেসরকারি হাসপাতালের দু’জন গ্রহীতা কিডনি দু’টি পাচ্ছেন। চোখের কর্নিয়া সংরক্ষণও করা হয়েছে। লিভার পাচ্ছেন এসএসকেএম-এরই এক রোগী।