Ragging

গুরুদাস কলেজে র‌্যাগিং নিয়ে ইউজিসিকে অভিযোগ পড়ুয়ার, তির তৃণমূল ছাত্র নেতার দিকে

বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়ের দাবি, সোমবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাতেও অভিযোগকারীকে হুমকি দিয়ে যেতে বাধ্য করা হয়েছিল। র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের ওই ছাত্রনেতা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০২৩ ২০:২৫
Share:

গুরুদাস কলেজে উঠল র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ। ছবি: সংগৃহীত।

এ বার র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ কলকাতার গুরুদাস কলেজে। অভিযোগের তির তৃণমূল ছাত্র পরিষদের এক নেতার দিকে। র‌্যাগিংয়ের শিকার হয়েছেন জানিয়ে এক পড়ুয়া অভিযোগ জানিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)-কে। সেই অভিযোগ পেয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছিল ইউজিসি। র‌্যাগিং নিয়ে যথাযথ পদেক্ষেপেরও নির্দেশ দিয়েছিল তারা। কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা নিয়ে অবশ্য মুখ খুলতে চাননি কলেজ কর্তৃপক্ষ। জানিয়েছেন, ইউজিসির চূড়ান্ত রিপোর্ট পেলে এ বিষয়ে জানাবেন। বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়ের দাবি, সোমবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাতেও অভিযোগকারীকে হুমকি দিয়ে যেতে বাধ্য করা হয়েছিল। র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের ওই ছাত্রনেতা।

Advertisement

গুরুদাস কলেজের এক পড়ুয়ার অভিযোগ, তিনি র‌্যাগিংয়ের শিকার হয়েছেন। এই মর্মে অভিযোগ জানান ইউজিসিকে। তিনি আঙুল তোলেন কলেজের সংসদের সাধারণ সম্পাদক সোহম চক্রবর্তীর দিকে। অভিযোগ পেয়ে কলেজকে পাল্টা মেল করে ইউজিসি। তাতে জানানো হয়, এক পড়ুয়ার থেকে র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ পেয়েছে তারা। ওই পড়ুয়াকে চিহ্নিত করে কলেজ কর্তৃপক্ষকে কাউন্সেলিং করানোর পরামর্শ দিয়েছে কমিশন। আরও জানিয়েছে, ওই পড়ুয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে ইউজিসির নিয়ম মেনে পদক্ষেপ করতে হবে কর্তৃপক্ষকে। ছাত্রের পরিচয় গোপন রাখার কথাও বলা হয়েছে।

এই প্রসঙ্গে কলেজের অধ্যক্ষ মৌসুমী চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমরা পদক্ষেপ করছি। এখনও ইউজিসির চুড়ান্ত রিপোর্ট হাতে পাইনি। আমাদের করা পদক্ষেপ ইউজিসিকে জানিয়েছি। তবে গোটা বিষয়টি গোপন রাখতে চাই। কার বিরুদ্ধে কোন পড়ুয়ার কী অভিযোগ, জানাতে চাই না। ইউজিসির চূড়ান্ত রিপোর্ট হাতে পেলে জানাব।’’ এসএফআইয়ের তরফে অভিযোগ, দীর্ঘ দিন ধরে ছাত্র সংসদের নির্বাচন হয়নি। তাই ৮ বছর ধরে কলেজের সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন তৃণমূলের এক নেতা। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ। সোমবার তৃণমূল ছাত্রপরিষদের সভা ছিল। সেই সভায় অভিযোগকারী পড়ুয়াকে যেতে বাধ্য করা হয় বলেও দাবি তাদের। এসএফআইয়ের আরও দাবি, ওই পড়ুয়াকে হুমকি দেওয়া হয়, সভায় না গেলে পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হবে।

Advertisement

এই সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন সোহম। তিনি বলেন, ‘‘আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ ভিত্তিহীন। ভুল প্রচার করা হচ্ছে। এই বিষয়ে অধ্যক্ষ বলতে পারবেন। আপনাদের কাছে ভুল বার্তা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।’’

পড়ুয়ার অভিযোগ পেয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষকে ইমেল করেছে ইউজিসি। —নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement