ঊষসী চক্রবর্তী (ডান দিকে) —নিজস্ব চিত্র
কোভিড আক্রান্ত বলা সত্ত্বেও, ভর্তির জন্য নথি যাচাই করতে সশরীরে ক্যাম্পাসে যেতে বাধ্য করা হয়েছে। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ এক ছাত্রীর। দমদমের বাসিন্দা ঊষসী চক্রবর্তীর দাবি, শুক্রবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে টেলিফোনে তাঁকে জানানো হয়, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নথিপত্র নিয়ে পৌঁছতে না পারলে ভর্তি বাতিল করা হবে। এই নিয়ে নেটমাধ্যমে সরব হন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অবশ্য ঊষসীর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
আনন্দবাজার অনলাইনকে ঊষসী জানান, তিনি এই বছর রবীন্দ্রভারতীর বিধাননগর ক্যাম্পাসে সোশ্যাল ওয়ার্ক নিয়ে স্নাতকোত্তরে ভর্তি হয়েছেন। বৃহস্পতি এবং শুক্রবার ছিল নথি যাচাইয়ের দিন। কিন্তু বৃহস্পতিবারই তাঁর কোভিডের পজিটিভ রিপোর্ট আসে। অভিযোগ, এই কথা টেলিফোনে কর্তৃপক্ষকে জানানোর পরেও তাঁরা ঊষসীকে আসতে বলেন। তাঁর থেকে অন্য পড়ুয়ারা আক্রান্ত হতে পারে বলে ঊষসী উদ্বেগ প্রকাশ করলেও নাকি গুরুত্ব দেননি কর্তৃপক্ষ। উল্টে তাঁকে বলা হয়, সঠিক সময়ে আসতে না পারলে তাঁর ভর্তি বাতিল করা হবে। এবং ভর্তির টাকাও ফেরত মিলবে না।
ফেসবুক পোস্টে ঊষসী লেখেন, বাধ্য হয়েই তিনি বাড়ি থেকে ভর্তি হওয়ার জন্য বেরোচ্ছেন। লেখেন, ‘আমার জন্য কেউ আক্রান্ত হলে তার দায়ভার রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের। আমার কোনও দায়ভার নেই।’ ঊষসী যখন দমদম থেকে বিধাননগর ক্যাম্পাসের পথে, তখন আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে ফোন করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাডমিশন বিভাগে। যে রাজু দাসের বিরুদ্ধে ঊষসীর অভিযোগ, তিনি দাবি করেন— করোনা আক্রান্ত জেনেও ছাত্রীকে আদৌ আসতে বলেননি তিনি। এমনকি ভর্তি বাতিল করার কথাও বলেননি। তবে নির্দিষ্ট সময়ে নথি দেখাতে না পারলে কী হবে, তা তাঁর উচ্চতর কর্তৃপক্ষই ঠিক করবেন বলে তিনি ছাত্রীকে জানান।
অ্যাডমিশন বিভাগেরই নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আর এক কর্মীর দাবি, ওই ছাত্রীর আগেই নথি যাচাইয়ের জন্য আসার কথা ছিল, কিন্তু তিনি আসেননি। এর পর বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে ৬ এবং ৭ ডিসেম্বর ফের নথি যাচাইয়ের তারিখ দেওয়া হয়।
ইতিমধ্যে ক্যাম্পাসে পৌঁছে যান ঊষসী। তাঁর দাবি, ডেকে আনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে তাঁর কাছে ক্ষমা চাওয়া হয়েছে। এবং নথি যাচাই না করেই তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।