West Bengal Municipal Election 2022

WB Municipal poll2022: কোভিড পরিস্থিতিতে চার পুরসভার ভোট কি বন্ধ হওয়া উচিত? জানতে চাইল হাই কোর্ট

২২ জানুয়ারি রাজ্যের চার পুরনিগমে ভোট। এদিকে, কোভিডের সাম্প্রতিক স্ফীতি জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে শিখর ছুঁতে পারে বলে অনুমান বিশেষজ্ঞদের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০২২ ১৪:৪৩
Share:

গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ

রাজ্যে যে ভাবে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে, তাতে কি জানুয়ারি মাসে চার পুরনিগমে ভোট হওয়া উচিত? রাজ্যের কাছে জানতে চেয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। জবাবে রাজ্য জানিয়েছে, এ ব্যাপারে যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার তা নির্বাচন কমিশনই নেবে। প্রয়োজন পড়লে করোনা নিয়ন্ত্রণে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর তাদের সাহায্য করতে পারে।

Advertisement

একটি জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার রাজ্যের কাছে এ প্রশ্ন রাখা হয়। মামলাটির শুনানি চলছিল প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি কেসাং ডোমা ভুটিয়ার ডিভিশন বেঞ্চে। মামলাকারীর তরফে আদালতে হাজির ছিলেন আইনীজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। রাজ্যের তরফে ছিলেন অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়। মামলা প্রসঙ্গে রাজ্যের মত চাওয়া হলে সৌমেন্দ্রনাথ প্রাথমিক ভাবে বলেন, ‘‘কোভিড পরিস্থিতিতে কোনও কিছুই যখন বন্ধ হচ্ছে না, তখন ভোট কেন বন্ধ হবে?’’ যদিও শেষ পর্যন্ত এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনকেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকারী বলে বর্ণনা করেন তিনি। আদালত নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য জানতে চাইলে কমিশন সময় চায়। মঙ্গলবারের মধ্যে কমিশনকে এ ব্যাপারে হলফনামা জমা দিতে বলেছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।

আগামী ২২ জানুয়ারি রাজ্যের চারটি পুরনিগম এলাকায় ভোট ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। অন্য দিকে, কোভিডের সাম্প্রতিক স্ফীতি জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে শিখর ছুঁতে পারে বলে অনুমান বিশেষজ্ঞদের। এমত অবস্থায় ওই চার পুরনিগমের ভোটে স্থগিতাদেশ চেয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাই কোর্টে। মামলাকারীর আইনজীবী বিকাশরঞ্জন আদালতে বলেন, ‘‘বিধাননগরের ২৩টি জায়গাকে ইতিমধ্যেই গণ্ডিবদ্ধ এলাকা (কন্টেনমেন্ট জোন) হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। অন্য পুরসভাগুলিতেও কোভিড সক্রিয়। এই অবস্থায় ভোট বন্ধ করা হোক।’’

Advertisement

প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটির শুনানি ছিল। জনস্বার্থ মামলার বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের মত কী তা জানতে চায় বেঞ্চ। রাজ্য অবশ্য এ ব্যাপারে সরাসরি কোনও মত জানায়নি। বদলে রাজ্যের এজি সৌমেন্দ্রনাথ জানিয়ে দেন, নির্বাচন কমিশনই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে। কমিশন যা ভাল বুঝবে, তাই করবে। তবে রাজ্যের কাছে যদি কোভিড নিয়ন্ত্রণের জন্য সাহায্য চায়, তবে রাজ্য তা করতে রাজি আছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement