এসি রেক। ফাইল চিত্র।
পুজো আসতে বাকি এক মাসেরও কিছু বেশি সময়। এরই মধ্যে মেট্রোয় যাত্রীদের ভিড় উপচে পড়তে শুরু করেছে বলে সূত্রের খবর। অথচ রেক নিয়ে নানা সমস্যায় জেরবার মেট্রো কর্তৃপক্ষ। তিতিবিরক্ত কর্তারা গত কয়েক মাসে রেল বোর্ডের সঙ্গে একাধিক বৈঠকে উপর্যুপরি তাঁদের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। তার পরেই মেট্রো কর্তৃপক্ষের চাপের মুখে আইসিএফের নতুন রেকের হাল ফেরাতে নড়ে বসল রেল বোর্ড।
সব কিছু ঠিক থাকলে পুজোর মধ্যে আরও তিনটি নতুন এসি রেক চালু হতে পারে বলে আশা মেট্রো কর্তৃপক্ষের। প্রসঙ্গত, পুরনো নন-এসি রেক দিয়ে কোনও মতে গত বছরের পুজোর ভিড় সামাল দেওয়া গিয়েছিল। এ বার আর তার পুনরাবৃত্তি চান না মেট্রো কর্তৃপক্ষ। তাঁদের চাপের মুখে পড়ে চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরির এসি রেকগুলির ত্রুটি সারাতে তৎপর হয়েছে রেল বোর্ড।
মেট্রো সূত্রের খবর, মাসখানেক আগে চেন্নাইয়ে ফেরত পাঠানো আইসিএফের পাঁচ নম্বর রেকটির যাবতীয় মেরামতি শেষ করে সেটিকে শীঘ্রই কলকাতায় পাঠানো হবে। অন্য দিকে, নোয়াপাড়া কারশেডে আইসিএফের চার এবং ছ’নম্বর রেকের প্রয়োজনীয় মেরামতির কাজ অর্ধসমাপ্ত হয়ে পড়ে আছে। পাঁচ নম্বর রেকের মেরামতি মিটলে আইসিএফের আধিকারিকেরা কলকাতায় এসে ওই দু’টি রেককে দ্রুত পরিষেবা দেওয়ার উপযুক্ত করে তুলবেন বলে রেল বোর্ডের তরফে আশ্বাস মিলেছে।
কলকাতার উত্তর-দক্ষিণ মেট্রোয় এখন ১৬টি এসি এবং ৯টি নন-এসি রেক চালু রয়েছে। এর মধ্যে রাঁচীর ভারত হেভি ইলেকট্রিক্যালসের তিনটি রেক খুবই পুরনো। নতুন তিনটি এসি রেক চালু করা হলে ওই রেকগুলি বসিয়ে দেওয়া হবে।
মেট্রো সূত্রের খবর, মাস চারেক আগে চালু হওয়া আইসিএফের তিনটি বাতানুকূল রেক এখন ভাল পরিষেবা দিচ্ছে। এক-একটি রেক দিনের ব্যস্ত সময়ে ৫-৬টি করে ট্রিপে চলাচল করছে। এই অবস্থায় আরও তিনটি এসি রেক চালু হলে পরিস্থিতির বেশ খানিকটা উন্নতি হতে পারে। এ প্রসঙ্গে মেট্রোর এক কর্তা বলেন, ‘‘নতুন রেক হাতে পাওয়ার বিষয়ে আমরা আশাবাদী। সে ক্ষেত্রে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানোর বিষয়টিও বিবেচনা করা হবে।’’