এই ঘাটেই হবে সংস্কার। নিজস্ব চিত্র
এ বার বাগবাজারে সারদাদেবীর নামাঙ্কিত গঙ্গার ঘাটটি শহরের অন্যতম আকর্ষণ কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে উদ্যোগী হচ্ছে রাজ্য সরকার। ওই প্রকল্পের একটি রূপরেখা তৈরিও হয়ে গিয়েছে। খরচ ধার্য হয়েছে ৯০ লক্ষ টাকা। ওই কাজ করবে হুগলি রিভার ব্রিজ কমিশনার্স (এইচআরবিসি)।
মায়ের ঘাটের অল্প দূরেই মায়ের বাড়ি। প্রায় ১৪০ বছর আগে সারদাদেবী উত্তর কলকাতার যে বাড়িতে থাকতেন, তা-ই পরে মায়ের বাড়ি নামে পরিচিতি পেয়েছে। সেই বাড়িতে থাকাকালীন নিয়মিত ওই ঘাটে স্নানে যেতেন তিনি। তাই ঘাটটি বর্তমানে মায়ের ঘাট নামেই পরিচিত।
স্থানীয়দের কথায়, সিঁড়ির ধাপ ভেঙে ঘাটটি এখন বেশ বিপজ্জনক হয়ে রয়েছে। এক বার পা পিছলে গেলেই বিপদ। যত্রতত্র পড়ে রয়েছে আবর্জনা। ঘাটের যেখানে সারদাদেবী বসতেন, রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে সেই জায়গারও বেহাল দশা। ঘাটটি চক্ররেল লাইনের গা ঘেঁষা। ফলে ঝুঁকি নিয়ে রেললাইন পেরিয়ে যেতে হয় ঘাটে। এ দিকে অনেক ভক্তই ঘাটের আকর্ষণে সেখানে ভিড় করেন। বেনারসের গঙ্গাঘাটের আদলে বিশেষ তিথিতে সেখানে প্রদীপ জ্বালানোও হয়।
কী হবে সেখানে? এইচআরবিসি সূত্রের খবর, নকশা করা পাঁচিল দিয়ে ঘেরা হবে মায়ের ঘাট। রেললাইন পারাপারের জন্য উড়ালপুল তৈরি করা নিয়েও ভাবনাচিন্তা চলছে। ঘাটের ধারে বসার জন্য থাকবে লোহার বেঞ্চ। গাছ বসিয়ে সাজিয়ে তোলা হবে এলাকা। পাশাপাশি, মায়ের ঘাটের দু’দিকে গঙ্গার উপর পর্যন্ত থাকবে কংক্রিটের প্ল্যাটফর্ম। অনেকটা ব্যালকনির মতো। সেখান থেকেই গঙ্গার সৌন্দর্য দেখতে পারবেন দর্শনার্থীরা। সারদাদেবীর বসার জায়গাটিও সাজিয়ে তোলা হবে। ঘাটে ঢোকার সুদৃশ্য তোরণ তৈরি করা হবে।
সূত্রের খবর, দ্রুত ওই কাজের জন্যে দরপত্র ডাকা শুরু হবে। বছর খানেকের ভিতরে কাজ শেষের লক্ষ্যমাত্রা স্থির হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে অন্য ধর্মীয় স্থানগুলির মতো এটিও সাজিয়ে তোলার উদ্যোগ শুরু হয়েছে। রাজ্য পর্যটন দফতরের এক আধিকারিক জানান, স্থান মাহাত্ম্যের কথা ভেবেই রাজ্য সরকার দক্ষিণেশ্বর, তারকেশ্বর, তারাপীঠ, কঙ্কালীতলা মন্দির ও চত্বরের সৌন্দর্যায়ন করেছে। কালীঘাট মন্দিরেও কাজ চলছে।