—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের পর সেই জেলারই নরেন্দ্রপুর থানার একাংশ কলকাতা পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আসতে চলেছে। সোমবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে স্থির হয়েছে নরেন্দ্রপুর থানাকে ভেঙে তিনটি থানা করা হবে। এর মধ্যে নরেন্দ্রপুর থানা থাকবে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায়। আর বর্তমান নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার দু’টি এলাকা খেয়াদহ এবং আটঘরায় নতুন থানা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, এর আগে রাজ্য বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, তিনি নরেন্দ্রপুরের খেয়াদহ এলাকাকে কলকাতা পুলিশের আওতায় আনতে চান। সোমবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে স্থির হয়, নরেন্দ্রপুর থানা আগের মতো দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পুলিশের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও খেয়াদহ এবং আটঘরায় দু’টি নতুন থানা করে সেগুলিকে কলকাতা পুলিশের আওতায় নিয়ে আসা হবে। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, সম্প্রতি ভাঙড় কলকাতা পুলিশের আওতায় আসার পরে নরেন্দ্রপুরের একাংশকেও লালবাজারের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা প্রায় অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়েছিল। তা ছাড়া নানা অসামাজিক কার্যকলাপেও সম্প্রতি বার বার সংবাদ শিরোনামে এসেছে নরেন্দ্রপুর। তাই শহরের উপকণ্ঠে থাকা এই এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও আঁটসাঁট করতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
গত জুলাই মাসেই ভাঙড়কে কলকাতা পুলিশের আওতায় আনার কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ভাঙড়ে কলকাতা পুলিশের আওতায় আলাদা ভাঙড় ডিভিশন গঠনের নির্দেশ দেন তিনি। স্থির হয়, আটটি থানা থাকবে এই ডিভিশনে। তবে আপাতত চারটি থানা কাজ শুরু করবে। সেই মতো কাজও শুরু হয়েছে। পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার পর থেকেই উত্তপ্ত হয়েছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড় বিধানসভা। তৃণমূল এবং আইএসএ কর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ভোট পর্ব মিটে যাওয়ার পরেও অশান্তি থামেনি ভাঙড়ে। অনেকের মৃত্যুও হয়েছে রাজনৈতিক হিংসায়। এক সময় নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে ঢুকতেই পারছিলেন না বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। সেই পরিস্থিতিতে ভাঙড়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে গত জুলাই মাসে ভাঙড়কে কলকাতা পুলিশের অধীনে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা।
ভার্চুয়াল মাধ্যমে ভাঙড়, উত্তর কাশীপুর, পোলেরহাট এবং চন্দনেশ্বর— এই চারটি থানার উদ্বোধন করেন। জানুয়ারি মাসের গোড়ায় ওই থানাগুলিতে পুলিশকর্মী এবং আধিকারিকদের নিয়োগ করার কথা জানায় লালবাজার।