প্রতীকী ছবি
২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে রাজ্যের সমস্ত কর্পোরেশন, পুরসভা-সহ শহুরে এলাকার (আরবান লোকাল বডিজ়) সব বাড়িতে পরিস্রুত পানীয় জল পৌঁছনোর লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করেছে রাজ্য সরকার। সেই অনুযায়ী কোন কোন জায়গায় এখনও জলের পাইপলাইন বসানো হয়নি, জল সরবরাহে সমস্যা রয়েছে— এমন বিভিন্ন বিষয় চিহ্নিত করে কাজ শুরু হয়েছে। তার জন্য এ বার প্রশাসনিক কর্তাদের মধ্যে নির্দিষ্ট দায়িত্বও বণ্টন করল রাজ্য পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। শহুরে এলাকায় বাড়ি বাড়ি পানীয় জল সরবরাহের বর্তমান পরিস্থিতি কী এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কী ভাবে প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ করা যায়, তা দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তাদের।
পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের এক কর্তার কথায়, ‘‘এলাকাভিত্তিক প্রাথমিক সমীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। কোথাও পর্যাপ্ত জলের জোগান রয়েছে অথচ সরবরাহের পাইপলাইন নেই। কোথাও জলের পাশাপাশি সরবরাহের পরিকাঠামোরও অভাব রয়েছে। সব দিক চিহ্নিত করে বিস্তারিত প্রকল্প রিপোর্ট তৈরি হচ্ছে।’’ প্রকল্পের দেখভালের কাজে নিযুক্ত কর্তাদের এলাকাভিত্তিক জল সরবরাহের বর্তমান পরিকাঠামো খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে সংশ্লিষ্ট এলাকার প্রতিটি বাড়িতে পানীয় জল পৌঁছনোর ক্ষেত্রে কোথায় ফাঁক রয়েছে ও তা কী ভাবে পূরণ করা যায়, সেই ব্যাপারেও সংশ্লিষ্ট কর্পোরেশন বা পুর ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে কথা বলতে বলা হয়েছে।
দফতর সূত্রের খবর, এর পাশাপাশি প্রকল্প রূপায়ণকারী সংস্থা, যেমন কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি, রাজ্য জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর, কেন্দ্রীয় সরকারের ‘অম্রুত’ প্রকল্পের কর্তাদের সঙ্গে মাসিক বৈঠক করবেন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তারা। বৈঠকের ভিত্তিতেই আবার অম্রুত প্রকল্পের রাজ্য মিশন অধিকর্তা একটি সুসংহত ব্যবস্থাপনা তৈরি করবেন (ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম বা এমআইএস) যেখানে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ পানীয় জল সরবরাহ প্রকল্পের যাবতীয় পরিসংখ্যান, তথ্যের উল্লেখ থাকবে।