LIC

এলআইসি শেয়ারের প্রতিবাদে পথে কর্মচারীরা, কাল কর্মবিরতি দেশ জুড়ে

সোমবার দুপুরে সরাসরি পথে নেমে দেশ জুড়ে কর্মচারীরা প্রতিবাদ জানান। কলকাতার চাঁদনি চকের কাছে এলআইসি ভবনের সামনেও প্রতিবাদে শামিল হন কর্মীরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৪:৫৮
Share:

এলআইসি ভবনের সামনে কর্মচারীদের বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র

বাজেট ঘোষণার সময়ে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রের হাতে থাকা জীবন বিমা নিগম (এলআইসি)-এর অংশীদারির (১০০%) একটি অংশ বিক্রি করার পথে পা বাড়াবে মোদী সরকার। বাজারে আসবে রাষ্ট্রায়ত্ত জীবন বিমা সংস্থাটির শেয়ার। এ বার তারই প্রতিবাদে পথে নামলেন এলআইসি-র কর্মচারীরা।

Advertisement

সোমবার দুপুরে সরাসরি পথে নেমে দেশ জুড়ে কর্মচারীরা প্রতিবাদ জানান। কলকাতার চাঁদনি চকের কাছে এলআইসি ভবনের সামনেও প্রতিবাদে শামিল হন কর্মীরা। তাঁদের বক্তব্য, বিভিন্ন সংস্থা যেখানে লোকসানে ধুঁকছে, সেখানে এলআইসি শুধু লাভের মুখই দেখছে না, জীবন বিমার ক্ষেত্রে তাদের দখলে রয়েছে ৭৪ শতাংশ বাজার। শেয়ার বিক্রির পর এলআইসি-র ভবিষ্যৎ আদৌ সুরক্ষিত থাকবে কি, প্রশ্ন ওই কর্মীদের।

যদিও কত শতাংশ শেয়ার বিক্রি করা হবে তা এখনও জানায়নি কেন্দ্র। কেন্দ্রের এই বিলগ্নিকরণ নীতির কড়া নিন্দা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ সব বিরোধী নেতা-নেত্রীরা। জীবন বিমা কর্মচারী সমিতি (কলকাতা ডিভিশন)-র সাধারণ সম্পাদক অমিতেশ সরকারের বক্তব্য, ‘‘শেয়ার বিক্রির প্রতিবাদে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। সরকারি সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না করলে আন্দোলন আরও তীব্র হবে।’’

Advertisement

এলআইসি কর্মীদের বিক্ষোভ।

আরও পড়ুন: শাহিন বাগ বিতর্ক তুঙ্গে তুলছে বিজেপি, কেজরীবাল কি শাঁখের করাতে?

অল ইন্ডিয়া ইনসিওরেন্স এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের তরফে যুগ্ম সম্পাদক জয়ন্ত মুখোপাধ্যায় বলছেন, ‘‘গ্রাহকদের বিশ্বাস নাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। তার প্রতিবাদে আগামিকাল, মঙ্গলবার এক ঘণ্টা কাজ বন্ধ রেখে প্রতিবাদে শামিল হবেন গোটা দেশের এলআইসি কর্মচারীরা।’’

আরও পড়ুন: আদনানকে পদ্মশ্রী দেওয়ায় ‘পাকিস্তান প্রেম’ নিয়ে মোদী সরকারকে খোঁচা স্বরার

অর্থমন্ত্রী বাজেট পেশের সময় জানিয়েছিলেন, সরকার তহবিল সংগ্রহের জন্য বাজারে ইনিশিয়াল পাবলিক অফারিং (আইপিও)-এর মাধ্যমে এলআইসি-র শেয়ার ছাড়বে। কেন এলআইসির শেয়ার বিক্রি করতে চাইছে কেন্দ্র? নির্মলা সীতারামনের যুক্তি ছিল, গত বছর আর্থিক ঘাটতির পরিমাণ ছিল জি়ডিপির ৩.৮ শতাংশ। সেই ঘাটতির পরিমাণ কমানোর লক্ষ্যেই এলআইসি-কে আংশিক ভাবে বেসরকারি হাতেই দিতে চাইছে সরকার।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement