স্পুটনিক ভি-র হিউম্যান ট্রায়াল কলকাতাতেও।
‘কোভ্যাক্সিন’-এর পর এ বার রাশিয়ার ‘স্পুটনিক ভি’! কলকাতার আরও একটি হাসপাতালে করোনার সম্ভাব্য টিকার পরীক্ষা হতে চলেছে খুব শীঘ্রই। প্রায় ১০০ জন স্বেচ্ছাসেবকের শরীরে ওই টিকা প্রয়োগ করা হবে। তাঁদের পর্যবেক্ষণ করবেন চিকিৎসকেরা।
ইতিমধ্যেই ‘স্পুটনিক ভি’-র প্রস্তুতকারক সংস্থা দ্য গামালেয়া রিসার্চ সেন্টার দাবি করেছে, তাদের তৈরি টিকা প্রয়োগে শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় থাকবে ২ বছর। রিসার্চ সেন্টারের প্রধান আলেকজান্ডার গিনস্টবার্গকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা উইয়ন জানিয়েছে, ইবোলা টিকার ক্ষেত্রে যে পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছিল, সেই একই পদ্ধতিতে এই টিকা তৈরি করা হয়েছে। তবে এই টিকার প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকবে অন্ততপক্ষে ২ বছর।
রুশ গবেষক সংস্থার এই দাবি খতিয়ে দেখতেই, কলকাতার বাইপাসের ধারের ওই হাসপাতালে স্বেচ্ছাসেবকদের শরীরে টিকা প্রয়োগ করা হবে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক, প্রস্তুতকারক সংস্থা এবং ওই হাসপাতালের ‘মেডিক্যাল টিম’ গোটা বিষয়টির তদারকি করবে। বস্তুত, রাশিয়াই প্রথম দাবি করে, তাঁরা করোনা টিকা ‘স্পুটনিক ভি’ তৈরি করেছে। ভারত বায়োটেকের ‘কোভ্যাক্সিন’ ছাড়াও, ফাইজার, মডার্না, সিরাম ইনস্টিটিউট-সহ বেশ কিছু টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থা দাবি করেছে তাঁদের টিকা যথেষ্ট কার্যকরী। এ বার দেখার কোন টিকা ভারতের প্রয়োগের ছাড়পত্র পায়। কোভ্যাক্সিন-এর তৃতীয় পর্যায়ের (ফেজ থ্রি) পরীক্ষা শুরু হয়েছে কেন্দ্রীয় গবেষণা সংস্থা নাইসেড (ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কলেরা অ্যান্ড এন্টেরিক ডিজিজেস)-এ। প্রথম সেই টিকা নেন কলকাতার পুরসভার প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম।
আরও পড়ুন: শুভেন্দুর চিঠির প্রেক্ষিতে মমতাকে ব্যবস্থা নিতে বলে চিঠি ধনখড়ের
আরও পড়ুন: শনিবার থেকে রবিবার ভোর পর্যন্ত শহরে জল মিলবে না বিস্তীর্ণ এলাকায়