—প্রতীকী ছবি।
আর্থিক সঙ্কট মেটাতে অনেকেই ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে থাকেন। কিন্তু অনেক সময়েই সংশ্লিষ্ট গ্রাহককে ঋণের ফাঁদে জড়িয়ে পড়তে দেখা গিয়েছে। অর্থাৎ ঋণ মেটাতে ফের ঋণ করছেন তিনি। শুধু তা-ই নয়, এতে আর্থিক সঙ্কট মেটা তো দূর অস্ত, উল্টে তা বেড়ে গিয়েছে কয়েক গুণ। এই পরিস্থিতি এড়াতে ৪০ শতাংশ ইএমআই পদ্ধতি অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছেন আর্থিক বিশ্লেষকরেরা।
নিয়ম অনুযায়ী, ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিলে প্রতি মাসে কিস্তিতে কিস্তিতে শোধ করতে হয় টাকা। বিশেষজ্ঞদের কথায়, ঋণের এই কিস্তির পরিমাণ কখনওই ৪০ শতাংশের বেশি হওয়া উচিত নয়। আর তাই ঋণ নেওয়ার আগে মাসিক কিস্তির পরিমাণ হিসাব করার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।
একটি উদাহরণের সাহায্যে বিষয়টি বুঝে নেওয়া যেতে পারে। ধরা যাক, কোনো ব্যক্তির মাসিক বেতনের পরিমাণ ৫০ হাজার টাকা। বিভিন্ন কর, প্রভিডেন্ট ফান্ড বাদ দিয়ে হাতে ৪৫ হাজার টাকা পান তিনি। ওই ব্যক্তির ঋণের মাসিক কিস্তির পরিমাণ ১৮ হাজার টাকা বা তার নীচে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞেরা। সংশ্লিষ্ট গ্রাহকের মাসিক বকেয়ার অঙ্ক ১৮ হাজারের বেশি হলে ঋণের ফাঁদে পড়তে পারেন তিনি।
গৃহ ঋণের ক্ষেত্রে আবার গ্রাহকদের মধ্যে অন্য প্রবণতা রয়েছে। অনেকেই নির্দিষ্ট একটি সময়ের পর একসঙ্গে ঋণের বাকি টাকা পরিশোধ করে দায় মুক্ত হতে চান। বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, এতে আর্থিক ভাবে লোকসানের সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ হঠাৎ করে একবারে যাবতীয় টাকা মিটিয়ে দিলে সুদের হারে কোনও বদল করে না ব্যাঙ্ক। উল্টে নির্ধারিত সময়ের আগে ঋণ মেটানোর জন্য দিতে হয় অতিরিক্ত টাকা। তাই কিস্তির টাকা ঠিক মতো মিটিয়ে নির্ধারিত সময়ে ঋণ পরিশোধের পরামর্শ দিয়েছেন আর্থিক বিশ্লেষকেরা।