এই পায়ের চিহ্ন অনুসরণ করেই ধরা যাবে নির্দিষ্ট লাইনের ট্রেন। — নিজস্ব চিত্র।
এসপ্ল্যানেড স্টেশন থেকেই ধরতে হয় হাওড়া যাওয়ার মেট্রো (গ্রিন লাইন)। আবার সেখান দিয়েই চলে দক্ষিণেশ্বর থেকে কবি সুভাষগামী মেট্রোও (ব্লু লাইন)। একই স্টেশনে দুই লাইনের মেট্রো ধরতে গিয়ে প্রায় সময়েই বিপাকে পড়েন যাত্রীরা। পথ ভুল করে অন্য লাইনের মেট্রোয় উঠে পড়েন। তাঁদের সমস্যার সমাধানের জন্য নতুন ব্যবস্থা এনেছে কলকাতা মেট্রো। প্ল্যাটফর্মে এঁকে দিয়েছে দুই রঙের পায়ের ছাপ। গ্রিন লাইনের মেট্রো ধরার জন্য সবুজ এবং ব্লু লাইনের মেট্রো ধরার জন্য নীল রঙের পায়ের চিহ্ন। সেই রঙের পায়ের চিহ্ন অনুসরণ করলেই ধরা যাবে নির্দিষ্ট লাইনের ট্রেন।
কলকাতা মেট্রোর গ্রিন লাইন এবং ব্লু লাইন এসে মিশেছে এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশনে। প্রতি দিন হাজার হাজার যাত্রী পুরনো এবং নতুন এসপ্ল্যানেড স্টেশনের মাধ্যমে হাওড়া বা কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় নিজেদের গন্তব্যে পৌঁছন। এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশনে এক করিডর থেকে অন্যটিতে পৌঁছতে গিয়ে প্রায়ই গুলিয়ে ফেলেন যাত্রীরা। পুরনো এসপ্ল্যানেড মেট্রোর প্ল্যাটফর্মে আঁকা হয়েছে সবুজ রঙের পায়ের চিহ্ন। সেখানে থেকে যে করিডোরের মাধ্যমে ব্লু লাইনের মেট্রো ধরতে হয়, সেখানে আঁকা রয়েছে নীল রঙের তির। সেই তির দেখে গন্তব্যে পৌঁছে যেতে পারবেন যাত্রীরা।
কোনও যাত্রী পুরনো এসপ্ল্যানেড স্টেশনে নামলে দেখতে পাবেন যে, প্ল্যাটফর্মে সবুজ পায়ের চিহ্ন আঁকা রয়েছে। সেই চিহ্ন ধরে তিনি পৌঁছে যেতে পারবেন নতুন এসপ্ল্যানেড স্টেশনে। সেখান থেকে ধরতে পারবেন হাওড়াগামী গ্রিন লাইনের মেট্রো। একই ভাবে কোনও যাত্রী নতুন এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশনে নামলে নীল রঙের পায়ের চিহ্ন দেখে তিনি পৌঁছে যেতে পারবেন পুরনো এসপ্ল্যানেড স্টেশনে। সেখান থেকে দক্ষিণেশ্বর থেকে কবি সুভাষগামী বা কবি সুভাষ থেকে দক্ষিণেশ্বরগামী মেট্রো ধরতে পারবেন। মেট্রোর তরফে জানানো হয়েছে, পায়ের চিহ্ন, তির ছাড়াও যাত্রীদের বোঝার জন্য ব্যানার, পোস্টার, স্টিকারও বসানো হয়েছে এসপ্ল্যানেড স্টেশনে। তবে প্রশ্ন উঠছে, এসপ্ল্যানেড স্টেশনে দিনের ব্যস্ত সময়ে যা ভিড় থাকে, তাতে কি ওই পায়ের চিহ্ন অনুসরণ করা যাত্রীদের পক্ষে আদৌ সম্ভব?