প্রতীকী ছবি
সরকারি নির্দেশ প্রকাশিত হয়েছিল গত বছরের নভেম্বরে। সেই মতো কলকাতা পুলিশের সার্জেন্টদের তালিম চলেছে দু’দফায়। কলকাতা পুলিশের এলাকায় দারোগাদের (সাব-ইনস্পেক্টর) উপর থেকে তদন্তের চাপ কমাতে তখন থেকেই সার্জেন্টদের তদন্তে কাজে লাগানো শুরু হয়েছে। সেই প্রক্রিয়ায় এ বার প্রথম সাফল্য এল।
মঙ্গলবার শিয়ালদহে বিশেষ পকসো আদালতে এক ব্যক্তিকে পাঁচ বছরের সাজা দিয়েছেন বিচারক জীমূতবাহন বিশ্বাস। মাস দু’য়েক আগে বেলেঘাটা থানায় সাত বছরের এক বালিকাকে যৌন হেনস্থার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশের তরফে ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেন থানার সার্জেন্ট শান্তব্রত চট্টোপাধ্যায়। কোনও সার্জেন্টের তদন্তের ভিত্তিতে আদালতের রায় এবং অভিযুক্তের সাজার ঘটনা এটাই প্রথম বলে মনে করছে লালবাজার। তবে পুলিশকর্তাদের মতে, সবে মাত্র সার্জেন্টদের তদন্তের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কয়েকটি থানা এবং গোয়েন্দা বিভাগে নিযুক্ত কয়েক জন সার্জেন্ট এখনও পর্যন্ত তদন্তের ভার পেয়েছেন। পকসো মামলায় সাধারণত বিচারের নিষ্পত্তি তুলনায় দ্রুত ঘটে থাকে। তাই এই প্রথম কোনও সার্জেন্টের বিচারে মামলায় সাজা মিলল। বেলেঘাটার মামলাটিতে ২৮ বছরের এক যুবককে পকসো মামলায় পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়। বিশেষ সরকারি আইনজীবী বিবেক শর্মা জানান, নির্যাতিতা বালিকাকে চার লক্ষ টাকা সহায়তার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
গত ১৪ অক্টোবর বেলেঘাটার এক যুবক তাঁর সাত বছরের মেয়ের যৌন হেনস্থার বিষয়ে থানায় অভিযোগ করেন। মেয়েটির মামার বাড়িতে ঘরে টিউবলাইট সারাইয়ের নাম করে ঢুকে অভিযুক্ত যুবক যৌন হেনস্থা করে বলে অভিযোগ। থানার সার্জেন্ট শান্তব্রত চট্টোপাধ্যায় মামলাটির তদন্তভার নেন। পুলিশ সূত্রের খবর, বাচ্চা মেয়েটি তার সঙ্গে কী ব্যবহার করা হয়েছিল, তা ওর সমবয়সী এক বালিকাকে জানায়। সেই মেয়েটি তার মাকে বলে, কী হয়েছে। ওই মহিলাই তৎপর হয়ে বিষয়টি নির্যাতিতার অভিভাবকদের কানে তোলেন। বিচারের প্রক্রিয়ায় নির্যাতিতা, তার মা ছাড়াও আর এক বালিকা, এবং তার মায়েরও গোপন জবানবন্দি আদালতে নথিভুক্ত করানো হয়েছে।