—প্রতীকী চিত্র।
ভুয়ো কল সেন্টার খুলে পরিষেবা দেওয়ার নাম করে আমেরিকার নাগরিকদের আর্থিক প্রতারণার মামলায় আরও এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশের গুন্ডা দমন শাখা। ধৃতের নাম মহম্মদ তারিক। পুলিশ সূত্রের দাবি, প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেওয়া ডলার আমেরিকা থেকে টাকায় বদলে কলকাতায় নিয়ে আসার মূল কারিগর ছিলেন তিনি। ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বদলে ওই টাকা নিয়ে আসা হত ভারতে। কলকাতায় বসে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট নিয়ন্ত্রণ করে তারিক ওই কাজ করতেন বলে অভিযোগ।
এই সাইবার প্রতারণা মামলার তদন্তে নেমে সম্প্রতি কসবা এবং কড়েয়ায় অভিযান চালিয়ে ১২ জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছেন গুন্ডা দমন শাখার গোয়েন্দারা। তাঁদের জেরা করে উঠে আসে তারিকের নাম। এর পরেই তিলজলার বাসিন্দা ওই ব্যক্তিকে শনিবার ডেকে পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন গোয়েন্দারা। জিজ্ঞাসাবাদের পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ সূত্রের খবর, তদন্তে উঠে এসেছে, আমেরিকা থেকে প্রতারণার টাকা প্রথমে নিয়ে আসা হত দুবাইয়ের একটি অ্যাকাউন্টে। দুবাইয়ে ওই ডলার বিভিন্ন ই-ওয়ালেটে রাখা হত। এর পরে তা বদলে ফেলা হত ক্রিপ্টোকারেন্সিতে। তার পরে তা ফের টাকায় পরিবর্তিত করে তা পাঠানো হত দিল্লির বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে। দিল্লির অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে হাওয়ালার মাধ্যমে পাঠানো হত কলকাতায়। পুলিশ সূত্রের খবর, এই গোটা প্রক্রিয়ার পিছনে একটি চক্র সক্রিয়। চক্রের সদস্যেরা রয়েছেন দুবাইয়ে, দিল্লিতেও। কিন্তু কলকাতায় বসে পুরো বিষয়টি তারিক পরিচালনা করতেন। বিভিন্ন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও তিনিই নিয়ন্ত্রণ করতেন।
তারিকের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, টাকা কলকাতায় পৌঁছনোর পরে তা সংগ্রহ করে
চক্রের বিভিন্ন সদস্যদের মধ্যে ভাগ করে দিতেন তিনি। তার বদলে কমিশন পেতেন। ধৃত তারিককে রবিবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে হাজির করা হয়। সরকারি আইনজীবী অভিযোগ করেন, মোবাইল থেকে অপরাধের তথ্যপ্রমাণ লোপাট করেছেন অভিযুক্ত। সওয়াল শেষে বিচারক তারিককে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।